.                 স্বাধীনতা
তুমি  মুক্ত বলাকা-   মুক্ত চিন্তায়   ঘুরে বস,
                 স্বাধীনতা
তুমি  বিহঙ্গীর ন্যায়    আপন কুটিরে  ফিরে আস।
                 স্বাধীনতা
তুমি  তপ্ত মরুর   অবাধ আশা-  একটু মরিচীকা,
       তা সত্বেও   স্বাধীনতা তুমি  দাওনি মোদের  ধোঁকা।


                 স্বাধীনতা
তুমি  শুন্য কোলের   শক্ত প্রস্তর;   অসীমের আগুয়ানে
     বিবেকের হানা,  অধরা আকাশ,  অবারিত পবনে।
তুমি  চন্দ্রলোকে  অসীম জোনাই  মিটমিট করে  জ্বলো
      বুকে দাও ব্যথা,  ক্ষনিক কষ্টে-  নিমিষেই হও  ভালো।
                স্বাধীনতা
তুমি  বুকের পাঁজরে  সুপ্ত আশা-  একটু পাগলামি
       কবর দিয়ে যাও  সাহসী সুর  শেষ করে দাও “ আমি”
       হীন চেতনার   অবসান করে  মিলে মিশে কর  এক
       ‍“সোনালী পথিক;  সুর্যের পানে  চেয়ে চেয়ে ঐ  দ্যাখ্।”


     ঐ দেখ ফিরে,   স্বাধীনতা ঘিরে  হচ্ছে কুচকাওয়াজ
     সুখের মাঠে    উষ্ণ হাওয়া   বেলোয়ারী আওয়াজ।
     নিমিষেই শেষ   পাষানের বেশ-   ত্বরায় মাল্যদান,
               হে স্বাধীনতা-
তুমি  শুন্য মায়ের  বুক জোড়া বল  - সাহসী সন্তান।


                   স্বাধীনতা
তুমি  মায়ের আঁচলে  ফোটা এক ফুল  বধূয়ার ভালবাসা
       দুরের পথে  অতিথি আগমনে  প্রাণের ক্ষীন  আশা।
       বৃদ্ধা মায়ের   দু’হাতের ফল-  চোখ ঝরানো  বারি!
       আর্ত চিৎকারে  হাতেই ধরা  স্বপ্ন-পুরুষের  ছুরি।
       ছোট এই দেশ  বাংলাদেশে  স্বাধীনতা তুমি  সব
       ঘাসের উপরে   টলমল জল-  পাখিদের কলরব।


                     স্বাধীনতা
তুমি  একার নও-  সবার তুমি;  হেম পূর্ন  হিয়া
      কারা বলে ওরা,  এনেছে তোমায়  মুজিব কিংবা  জিয়া?
       ত্রিশ কিংবা   তারও বেশি  ধ্রুব তারার  বলে
       শক্ত নেতার  কঠিন স্বরে,  এসেছ বঙ্গ  ভালে।
                    স্বাধীনতা
তুমি  শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালির  বুকের স্বপন  শের-এ-বাংলা’র  দেশে
       সবার মনের  একই বাসনা-  জয়ের মালা  শেষে।


   এস সব ভুলে  স্বাধীনতার কোলে,  শান্ত হই আবার
   লাখো মা বোনের  সুখে বাঁধা ঘর,  সুখে বুনি শতবার।


                    স্বাধীনতা
তুমি  বাংলাদেশের  সবার মনের-  সবার বাহুবল
     তোমায় নিয়ে,  দুর করে দেব,  বেদনা যত বা  অনল।
     প্রাণের মাঝে  রাখবো তোমায়   প্রিয় আলিঙ্গনে
     থাকবে বেঁচে   যুগ যুগ ধরে  বাঙ্গালীর মনে  প্রাণে।


(২৬ মার্চ, ২০০৭# ৮৫৯)