বিষণ্ণতার কিছু লাল-নীল ট্যাবলেট আমাকে দিও
কথা দিচ্ছি বর্ণমালার ক্রমানুসারে নিয়মিত গিলে খাবো
কোনো প্রকার ভুলচুক করবো না
সাথে নেবো এক সমুদ্র সুবিধাভোগী সমাহিত  জল
সেই জলে সকাল-সন্ধ্যা পুড়াবো আগত বসন্তের অনল;
তবুও কথা দিচ্ছি,
রাতের বটিকা রাতেই খাবো , দিনের বটিকা দিনে
ভুলে যাবো আমার আপাদমস্তক জর্জরিত আছে তোমার পাহাড় কেনার ঋণে,
ভুলে যাবো ভালোবাসার নাম ভাঙিয়ে তোমার প্রতারণা
ভুলে যাবো কৃষ্ণচূড়ার শরীরে লেপ্টে থাকা ভাষার আরাধনা।


অথচ এমনটা কি হওয়ার কথা ছিলো প্রিয়তমা সুমনা?
কথা ছিলো কি সুখের দহনে বিষন্নতা আমায় জ্যান্ত গিলে খাবে?
প্রতিটি প্রহরের... ভুখা নৈঃশব্দ আমায় করে দেবে আনমনা?
তুমি বলো না সুমনা....?  
অথচ কী আশ্চর্য!  আজকাল তুমিও বর্ণমালার দিকে তাকিয়ে দেখো না।


তোমাকেই কেনো আর দোষ দেবো বলো একা একা.....
তবে কি আমরা কোনো একদিন ভুলে যাবো মা ডাকা?
অথচ সবাই আমরা সন্তাপ করি, কেউ মনস্তাপ করি না
বুকের ভেতর আস্ত সাগর লুকাই আর  
ছেঁড়া পকেটে লুকিয়ে রাখি দোয়েলপাখির বেদনা
এতোসব বেলেল্লাপনা আমার মোটেই ভালো লাগে না
সুমনা, এবার তুমি কিছু বলো না....!!


আচ্ছা বলো তো দেখি, কেমন আছে প্রাণের বর্ণমালা?
বলো তো দেখি......
মায়ের ভালোবাসা ছাড়া বাঁচতে পারে কোন্ শালা.?