মাঝে মাঝে আমি একটি দুর্দান্ত কবিতার কথা ভাবি,
ভাবি.......
সে কাউন ক্ষেতের সরু আল ধরে দাঁড়িয়ে থাকুক
কিছুদুরেই মগ্ন জলাশয়, যেখানে চৈতন্য ঘুমিয়ে আছে
আমিও আশেপাশেই কোথাও না কোথাও আছি
একবার মরি, আর একবার শুশুকের মতো বেঁচে যাই
ব্যস্ত সড়কের জেব্রাক্রসিং এর ঠিক উপরে..........।


এপথে এখন আর কেউ তেমন একটা আসে না
ভালোবাসে..... ভালোবাসে না! আমার কেবল  হিমহিম লাগে।
রাত্রির মতো বড়ো বড়ো চোখ করে তাকাতে ইচ্ছে হয়
সেখানে জোছনারা গলে পড়ে...
আমার বিষম শরম করে। আমার ভীষণ শরম করে।


রাস্তাঘাটের শীতল আগুনে উষ্ণতার ফেরিওয়ালা খুঁজি
দিন জমে বরফকুচি হলে সবাই নগ্নতায় ডুবে থাকে
অবাধ্য সময় আয়নায় রেখে,
                                          অত:পর ফিরে যায় নীড়ে
কেউ বিশ্বাস গড়ে না, জলেও একদিন আগুন জ্বলে!


তবুও ভেতরে ভেতরে আমরা সবাই কাগুজে ব্যাঘ্র পুষি
সুযোগের সন্ধানে বিড়ালের মতো ওঁত পেতে থাকি
আমি কাউকে বলি না
কাউকে বলতে চাইও না
তবুও সুর্য প্রতারণা করে সন্ধ্যারাগে, আমার হিম হিম লাগে!!