এখন আর আমি রাত জাগি না, রাত্রি  জাগে;
দূর পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসা অন্ধকারে
আমার রাত্রিরা খুঁজে ফেরে ধুপছায়া সন্ধ্যাসব;
একটা একটা প্রহর প্রহৃত হয় কালের অকাল
ঘ ন্টা; কেউ কেউ আরতি দেয় বিরল ময়াময়া,
হালে আর কেউ কোনোদিন পানি পায় না!


এদিকওদিক চায়.সবদিকে নিসিন্দার লেলিহান
চোখ, জটায়ুর মতো নিরীক্ষিত বুক সেও ঠায়
পায় না, থরোথরো কাঁপে; কলংকিত চাঁদ লুকায়
মুখ, লজ্জারাও মুখ গুঁজে দেয় কবুতরের খাপে;
অবশ্য এতো সব আয়োজনে কারো কিছু আসে
যায় না!


একদিন সুতিয়াখালি আমাকে ভাবিয়েছিলো,
লুপাট হয়েছিলো আমার অতীত উঠোনের হামান
দিস্তা,  ফুরিয়ে গিয়েছিলো আস্ত সমস্ত কালি ও
কলম; এখন মশাখালিও আমাকে তেমনি ভাবায়,
আমার আর মশারি লাগে না, জানবাজ প্রতিটি
প্রহর গান গায়... রাত্রিরা অসম্ভব জেগে থাকে
পাহারাদার প্রভুভক্ত কুকুর......!!