একজন রোগী হয়েছিলো। ডাক্তারবাবুর কাছে গিয়েছিলো।
সিরিয়াল পাওয়া খুব কঠিন ছিলো।
রাত তখন দিনের কাছাকাছি চলে যাচ্ছিলো।  অবশেষ ডাক আসিলো।
ডাক্তার নিজেও মানুষ ছিলো। সেটা উনি ভুলেই ছিলো।
টাকার নেশা বড়ো নেশা। এই নেশায় পেয়ে বসেছিলো।
হঠাৎ ডাক্তারবাবু ঢলে পড়লো।  
রোগীরা ধরাধরি করে ডাক্তারবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলো।
আমার রোগীর ব্যবস্থাপত্র  চুলোয় গেলো।


আরেকটি ঘটনা বলি। ঘটনাকাল হারিয়ে গেছে। ঘটনা মনে আছে।
আমি  এক ডাক্তার সাহেবের স্মরণাপন্ন হয়েছিলাম।
উনি দেননি এহেন কোনো টেস্ট নেই।
আমি কিছুই বললাম না। আমি ডাক্তার না।
দুইদিন তিনরাত পরে ব্যবস্থাপত্র দিলেন। কী দিলেন কিছুই বুঝা গেলো না।
হাতের লেখার কারিশমা জিলাপির প্যাঁচের চেয়ে ধুন্ধুমার ছিলো।
ফা্র্মেসীওয়ালাদের সকল বিদ্যা বিফলে গেলো। পাঠোদ্ধার হলো না।


বাবার কাছে একটি গল্প অনেকবার শুনতে শুনতে মুখস্ত মতো হয়েছে।
সিংগাপুর ফেরত এক বাবুর কাছে এক বিধবা গিয়েছিলো।
উনার ছেলের কাছে একটি চিঠি লেখার খুব প্রয়োজন ছিলো।
বাবু বললেন, আমি চিঠি লিখতে পারবো না।
কেনো পারবেন না বাবা। আপনি বিদেশ থাইক্যা লেহাপড়া শিইখ্যা আইছেন।
বাবু বললেন, আমার পা ভালো না।
বিধবা বললেন, বাবা পা দিয়া তো কেউ লেহে না। হাত দিয়া লেহে।
বাবু তবু রাজি হলেন না। বিস্তর কাকুতিমিনতির পরে বাবু বললেন,
আমি পারবো না, কারণ এই দেশে আমার লেখা কেউ পড়তে পারবে না।
আপনার ছেলের কাছে গিয়ে আমাকে চিঠি পড়ে দিয়ে আসতে হবে।
কিন্তুক এই পা নিয়ে আমার পক্ষে যাওয়া সম্ভবে নহে।


বিধবা খুশি মনে ফেরত আসলেন।
উনি কতো বড়ো শিক্ষিতি মানুষ! কেউ উনা লেহা পড়ার যোগ্যতা রাহে না!!