একমনে বাঁধাই করছিলাম ছেঁড়া ফাঁড়া বইয়ের মলাট
ভেতরে ভেতরে কেঁপে কেঁপে উঠছিল সাবালক বোধ,
এমনি করে যদি----;
বদলে দেয়া যেত জীবন নদী!  
অতঃপর এই ডিজিটাল যুগেও তার আসে, গ্যাস্টিক চোখে
তাকিয়ে দেখি ধূমায়িত চায়ের কাপ,
তখন ঠিক মধ্য দুপুর, খুব বেশি জমে উঠেনি
একের ভেতর এগারো--!
ক্যাকটাস এসেছিল
ফণীমনসাও এসেছিল
সেই সাথে ফুলকা দিয়ে কোনোরকমে নিঃশ্বাস বাঁচিয়ে রাখা
কাকবন্ধ্যা রাজপথ সেও!

পরে শুনলাম, কথা দিয়ে আসেননি সূর্য
অথবা
আসতে পারেননি!
অথবা
প্রতিনিধি করে পাঠাননি কোনো এক চিলতে রোদ!
আর চাঁদ
সে তো আগে থেকেই দিয়ে রেখেছিল জন্মান্তেরর আড়ি
তাই হয়নি খুব একটা অহি-নকুল বাড়াবাড়ি,
তবে আফসোসও কম নয়, সুর তুলেনি মোহন বাঁশি,  
কেউ বাজাননি সরোদ!

এমনি করে দিন যায়, হাতুড়ি চলে অবোধ মৃত্তিকা’পর
কাকতাড়ুয়া ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে,
অমাবস্যার চাঁদের ভেতর; অতঃপর আবার হাসে কৈকেয়ী,
এমনি করে হররোজ লিখা হয়  
মন্থরার দিনলিপি !!