একটা নভেলা লেখার আশায় চেয়ে আছি আকাশের মুখ
কোন্‌দিন আকাশে জমবে বর্ণমেঘ
সেই বর্ণমেঘ থেকে আচমকা শব্দবৃষ্টি হবে
সেই শব্দবৃষ্টি বাক্যবান ঢেকে আনবে
অতঃপর কোনো এক যুতসই বিকেলে আমার নভেলার
অঙ্কুরোদগম হবে, আর কিছু করতে না পারি বেচাকেনা
ওতেই আমি তিতো হবো, তখন আমি
কিছুটা হলেও মিটিয়ে দেবো তোমার পুতুল ভাঙার দেনা!


ভাবতেই পারবে না আমি এতোটুকুও বদলে যাইনি
এখনও মধ্যরাতের নীরবতা ভেঙে তোমার নুপুর পায়ে  
ঢেঁকি চেপে ধান চ্যাপ্টা করে চিড়া বানানোর শব্দগল্প  
শুনি, আমার কাছে সেই শব্দ এখন ইসরাফিলের সিংগার
শব্দের মতো মনে হয়; তবুও ধড়পড় করা বুকে বিছানা
হতে নিষ্ক্রান্ত হই, বারান্দা, ব্যালকনি, সিঁড়িকোটা
কোন্‌খানে তোমাকে খুঁজতে বাকি রেখেছি বলো-----?


অতঃপর আকণ্ঠ তৃষ্ণার্ত দূর্বাঘাসের মতো নেতিয়ে পড়ি
কয়েক কিউসেক পানিও আমার তৃষ্ণা মেটাতে পারে না,
সমস্ত রাতভর কুহক পাখি ডাকে
আমাকে ঘিরে সমস্ত অমঙ্গলের ছায়া নৃত্য করতে থাকে
একসময়
আমার সহ্য হয় না কিছু পৃথিবী, আকাশ, সোনেলা
গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে ছুটে বেড়াই ----------------
আমিও যেনো নিজেই তখন ঈশ্বর অথবা ঐশ্বরিকা!!  


আমার সামনে-পেছনে-ডানে-বামে কোনো উপায়ান্তর নাই
আমি আর আমার ছায়া তখন বর্ণ বিদ্বেষ হতে বাঁচতে
স্বকল্প ভাবনার বিকল্প মানুষ হয়ে জন্ম গ্রহণ করি!!