এখন হামেশাই সময় উৎকট পুঁথি গন্ধময়
খোলা ডাস্টবিনে ঘুমায়, আশে-পাশে নগর,
লোকালয়, প্রতাপশালী সূর্যের কিরণ;এখন
প্যাসেঞ্জার ট্রেনের মতো সবার ব্যস্ত সময়
কেউ কারো ধার ধারে না
কেউ কাউকে পুঁছে না সরল সমীকরণ!


আমার কোথাও ঠায় নেই, আমি নিঃশব্দ,
নির্বিবাদ শব্দ চাষি; কবিতার মতো আমার
মন্দাকিনী জীবন, আমি সাত-সতেরো বুঝি
না জলজ ঘাতক; জানলার পা ছুঁয়ে আকাশ
দেখি, মাটি দেখি, দেখি কীটপতঙ্গ;
মাঝে মাঝে দু’কলম লিখতে গিয়ে কেঁপে
উঠে আমার সর্বাঙ্গ; টিকটিকি, তেলাপোকার
মতো আমারও কিছু লোকজ আচার আছে
অঞ্জলির পর অঞ্জলি, নিজেকে কাপুরুষ
ভেবে উপমার ভেদিতে ওদের দিই জলাঞ্জলি!


তবুও সময়ের ডাক কোনোমতে এড়াতে
পারি না বিবমিষা, নিরন্ন পিঁপড়ের যেমন
কোনো দুঃখ-কষ্ট নেই; তেমনি আমারও
কোনো বোধ-বুদ্ধি নেই, ডাস্টবিন ফেটে
সময়ের দুর্গন্ধ ছুটে; তবুও কারো কিছু যায়
আসে না; শীর্ণ নদীর মতো জল শুকোতে
শুকোতে অবলা কবিতার পঙক্তির মতো
একদিন সে সত্যিকার নারী হয়ে উঠে---!!