অতঃপর আমি আর কাঁদি না
যদিও তোমার চিরল দাঁতের কথা খুব করে মনে পড়ে
মনে পড়ে তোমার রক্তজবা গাল, বুক, চিবুক---
এখন আমার কেবল আকাশগঙ্গায় ভাসতে ইচ্ছে করে খুউব!


যেমন করে বাণপ্রস্থে যাওয়া মেঘগুলো আকাশে উড়ে
এক খণ্ডের সাথে আরেক খণ্ডের সংগোপন কথা হয়
আমারও তেমনি কথা বলতে খুউব ইচ্ছে করে!
জানো, আজকাল স্মৃতির জানলা খুলে দিতেও আমি ভয় পাই
একদিন যে দুয়ারি ফিরে গেছে রিক্ত হস্ত
সেই দুয়ারি আর কি ফিরবে কোনোদিন-----?


জানো, বাতাসে বাতাসে কতো কানাঘুষা হয়
আমার আশার প্রদীপ ক্ষণে ক্ষণে জ্বলে আর নিবে
যেই নক্ষত্র একদিন ছিলো হৃদয়ের সবটুকু গভীরতা জুড়ে
সেই নক্ষত্র কোনো এক দুর্বিপাক ঘূর্ণিঝড়ে
আজ কতোদূরে ---- কতো দূরে--------- ?


অথচ রোজ রোজ মহাপ্রতাপে সূর্য উঠে
একটার পর একটা কবিতা প্রসব হয় নতুন সকালের মতো,
আপন সন্তানের মতো -----
তবুও আমি এখন মিনমিনে সকাল, শিনশিনে বিকাল
আমাকে দেখে অবাক হয় বেবাক
একটু পর পর আমার ঘরের চালের উপর  ডাকে দাঁড়কাক!


অতঃপর আমি নিশি রাইতের আন্ধার হই
অতঃপর আমি আর কাঁদি না, আর কাঁদি না!!