কবি এখন প্রতিদিন-ই কয়েক বার করে হাসপাতালে যান
আবার ফিরেও আসেন—-
যাওয়ার সময় কবি উল্কার গতিতে ধেয়ে যান, তাঁর
চোখে মুখে থাকে উদ্বেগ, আবেগ, উৎকণ্ঠা;
আর ফেরার সময় অসুস্থ কবির মনে পড়ে তিনি সুস্থ নন;
সারাক্ষণ গায়ে গায়ে জ্বর লেগেই থাকে, মাথাঘুরে,
বমিটিং বমিটিং ভাব হয়; এসবের সাথে নতুন যোগ দিয়েছে
ইদানিং রাস্তায় বেরুলেই কবির হাঁচি-কাশি শুরু হয়;
আজকাল ধূলি-বালিও কবির সাথে কম বেঈমানি করছে না!!


কবি একজন হাবা-গোবা বোকা ধাঁচের মানুষ
অনেক সময় সেই হাবা-গোবা কবিও অনেককিছু বুঝে ফেলেন
কিন্তু কাউকে কিছুই বলেন না!
যেখানে প্রতিবাদ করার প্রয়োজন আছে, সেখানে তিনি নীরব
আস্তে আস্তে কবি স্বয়ংক্রিয় কাপুরুষের তকমা অর্জন
করতে চলেছেন————!


কবি ভাবেন, এখানেও তাঁর অর্জন কম নয়
কয়জন এমন সৈন্য আছেন, যারা যুদ্ধ ক্ষেত্রে থেকে
পালিয়ে বাঁচতে পারেন
কয়জন এমন আছেন পাখির বাসার মতো শরীরে রোগ
পোষতে পারেন
কয়জন কবি এমন আছেন নীরব থেকে বিপ্লবের জন্ম
দিতে পারেন!


কবি এখন কবির সমাজের মতোই ব্যাধিগ্রস্থ; অন্য আর
দশ জনের মতো কবিও ভালো থাকতে চান—ভালো—!!