আজকাল আমি আর কিচ্ছু বুঝি না ধরা অথবা সরা
আমার শহরটার কি হয়েছে? সবাই অন্ধকার উসকে দেয়!
অথচ দেখুক জগতবাসী অরণ্যে ব্যথাতুর কয়জন আছে?
আমি স্মৃতির শহরে আমার কবিতার শহর খুঁজি
মায়ের গলার রপালি লকেটে নিঃসংকোচ আশ্রয় খুঁজি
মায়ের আকাশ বুকের ভেতর আমার শৈশবের নদী খুঁজি!


আজও পেত্রাক, মাইকেল কী চমৎকার বেঁচে আছেন
অথচ আমি আরও নান্দনিক চমৎকার বেঁচে থেকেও নেই
শব্দের বদলে ইট,পাথর, ঢালাই লোহা আমার স্বপ্নের সনেট হয়
অলংকার, উপমা আর রূপকের মাদুলি পড়ে আমিও
আছি বেশ, আমার সোনার নৌকো ছুটে চলেছে লোকান্তর;
কবির পরাজয় হয়েছে, পারিজাত হয়েছে কবিতার অন্তর!


এমন আশ্চর্য পরিতৃপ্তির কথা কে শোনেছে কোন্‌দিন?
পচাবাসি শুঁটকি মাছের গন্ধে আমার দিন এখন রঙিন!
যতোটা খোলা যায় আমার জানলার কপাট—তার সিকিও
আমি খুলি না, কখন ক্লাস শেষের ঘণ্টা বাজে অথবা
আর কোনোদিন বাজবে না!
সবাই এখন নিজের মাঝে বড় হওয়া শিখে নিচ্ছে
কেউ কেউ সাথী করে নিচ্ছে উসকে দেওয়া অন্ধকার
আমার ললাটের সমস্ত উঠোন জুড়ে অহর্নিশ দিচ্ছে ডাক
আমার মায়ের চুম্বনের দাগ, অথচ এখন আমার বেঁচে আছে
কেবল যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ; মা এখনও ডেকে বলেন,
বাবা এখনও সময় ফুরিয়ে যায়নি “ নাও না পরাগ’’!!