আমার এখন কোথাও কিছু নেই ঘর অথবা বাহির
সবখানে পরাজয়ের দুর্গন্ধ সংযুক্ত পূর্বাভাস, সেই কবে পেয়েছিলাম
জয়ের আভাস—খুলে দিয়েছিলাম তোমার খোঁপার চুল;
আমার হাজার ভুল হয়েছিলো, তোমার হয়নি কোনো ভুল!


আমি শব্দের গন্ধ বুঝি, কোঁচকানো বাক্যের রাগ-অনুরাগ বুঝি;
বুকের কপাটে জমাট বাঁধা লু হাওয়া তাও কিছুটা বুঝি, কেবল
কোন্‌টা চিৎকার আর কোন্‌টা শীৎকার তা বুঝি না; অথচ এমন একটা
আলোকিত আঁধার আমার ছিলো যখন তাজা গন্ধকের
গন্ধের মতো আমাকে টানতো কনফুসিয়াসের দিব্য দর্শন,
অভুক্তদের রাজত্বে তখন আমিই ছিলাম একমাত্র রাজা; তবুও
ধূমায়িত কফির পেয়ালায় তোমাকে পাওয়া হলো না!


অতঃপর আমি সংসারে থেকেও নিপাট বৈরাগী আছি, এখনও আমি
ব্যস্ত কিষাণির ঘোলা জলে মাঝে মাঝেই বৈরাগ্য সাধন করি;
কবিতার মতো অশরীরী কাউকে ভালোবাসার অভিনয় করি
তোমাকে ভেবে ওর নাক, মুখ, বুক, চিবুক সবখানে লেহন করি
কাতান শাড়ি পড়াই, জামদানি শাড়ি পড়াই, মসলিন শাড়ি পড়াই!


কে জানে না মহামতি ঈশা খাঁ’র বংশধর আমি—হারতে জানি না
চৌকাঠের নিচে বজ্র-বিদ্যুৎ লুকিয়ে রেখেছি; ভয় করো না আবার
অদূরেই দেখো সাদা নিশান; আমার যতো খুশি পরাজয় হয় হউক
প্রিয়তমা জেনে রেখো, আমিও ঘোলা জলে দুর্দান্ত কিষান!!