সেই কবে লিখেছিলাম প্রথমপত্র, কিছু মনে নেই। মননে আছে।
পরম শ্রদ্ধেয় আব্বাজান,
প্রথমেই আমার সালাম এবং কদমবুসি জানবেন। পর সমাচার এই যে,
আপনি কেমন আছেন বাবা? মা কেমন আছে?
পশ্চিম বিলের ধারের ক্ষেত গুলোর ধান কি পেকেছে?
প্রথম ধান কাটার দিন আমি বাড়ি আসতে চাই।
কাস্তে হাতে ধান কাটায় সামিল হতে চাই। পাকা ধানের গন্ধে মন ভরাতে চাই।

কলার বাগিচার খবর কী? ওরা কেমন আছে? সার দেওয়ার দরকার নেই বাবা।
সার দিলে কলা বড়ো হয় ঠিক, কিন্তু স্বাদ লাগে না। পুষ্টিগুণ কমে যায়।
কয়েকটি বড়ো গাছের ডাল কেটে দিলে খুউব ভালো হয়।
চারাগুলো পর্যাপ্ত রোদ পাবে। ফলনও ভালো হবে।


পুকুরের মাছগুলো কতো বড়ো হয়েছে বাবা?
কিছু গাছের ডাল কেটে পুকুরে দেওয়ার প্রয়োজন ছিলো।
এতে মাছ গুলো যেমন তাড়াতাড়ি বড়ো হবে, তেমনি চোরও নিতে পারবে না।
আমি এসেই দেবো বাবা। আপনাকে আর কষ্ট করতে হবে না।
এতোটুকু লিখতেই হাত কাঁপছিলো। চোখ ছলছল করছিলো।
আমার প্রিয় টমি (কুকুর) আর চাঁদ (ছাগল) ওদের কথা খুব মনে পড়ছিলো।


ছোট আব্বা, ছোট মা, ভাইয়ারা এবং আপু কেমন আছে খুব জানতে ইচ্ছে করছে।
সবাইকে আমার শ্রেণিমতো সালাম এবং কদমবুসি জানাবেন।
ইতি
আপনাদের আদরের পুত্র


পুনশ্চ: আমি ভালো আছি বাবা। আমার জন্য চিন্তা করবেন না। মা কে বলবেন। আমি খুব খুব ভালো আছি। মা সব সময় অযথাই বেশি চিন্তা করেন। আমার জন্য দোয়া করবেন।