আজকাল প্রত্যায়ন পত্র ছাড়া কোনো কিছু হয় না। ভালোবাসাবাসিও।
একটা ছেলে একটা মেয়েকে প্রেমের অফার দিয়েছিলো।
মেয়েটাও ছেলেটার প্রতি দুর্বল ছিলো। তবুও দিনকাল ভালো না বলে
মেয়েটি প্রত্যায়নপত্র খুঁজতে লাগলো।
খুঁজতে খুঁজতে জানা গেলো মেয়েটির বান্ধবীর বান্ধবীর সাথে ছেলেটির প্রেম ছিলো।
মেয়েটি সাথে সাথে অফারটি ফিরিয়ে দিলো।।
প্রচেষ্টা এবং ভাগ্য মেয়েটিকে প্রতারিত হওয়া থেকে রেহাই দিলো।


আর একবার একজন অফিসার একটি ছেলেকে প্রত্যায়ন পত্র দিয়েছিলো।
প্রথমে দিতে চাননি। শেষমেশ অনুরোধে ঢেঁকি গিললো।
ছেলেটি দেখতে সুশ্রী ছিলো। নিরীহ ছিলো। মুখে কোনো পাপ ছিলো না।
পরে আদালত অফিসার কে তলব করলো।
অফিসার নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলো।
জানা গেলো ছেলেটি মস্ত বড়ো কালপ্রিট ছিলো।
না জেনে না বুঝে প্রত্যায়ন দেওয়ার জন্য আদালত অফিসারকে তিরষ্কার করলো।


আমার এক বন্ধু অফিসার পাসপোর্টের জন্য অপরিচিতার ছবি সত্যায়ন করছিলেন।
ফরমের নির্দিষ্ট স্থানে প্রত্যায়ন দিয়েছিলেন। বিরাট ভুল করেছিলেন।
জানা গেলো তার নামে অনেক মামলা ছিলো।
আদালতের ওয়ারেন্ট ছিলো।
আমার সেই বন্ধু বুদ্ধি দোষে অনেকবার আদালতে হাজিরা দিলো।
বহুত মান ইজ্জৎ অকালেই খোয়া গেলো।  কেউ কেউ বোকাও বললো।


কথায় আছে না, সাবধানের মার নেই। ভার আছে।
প্রত্যায়ন কাছে নাই, তাতে কি বিশ্বাসের মা তো আছে!!!!!