খেলাপি ঋণের কথাই বলি। মুর্খামির হয়ত সীমা-পরিসীমা আছে
কিন্তু খেলাপি ঋণের কোনো সীমাও নেই।  পরিসীমাও নেই।
যাদের কিছু নেই, তারা ঋণ পায় না।
যাদের কিছু আছে, তাদের ঋণের কোনো অভাব হয় না।
বিলাসী পন্যের মতো তাদের চাহিদা কোনোদিন ফুরোয় না।
দেশের প্রতি, দশের প্রতি তাদের ভালোবাসা শেষ হয় না!!


কমলার মা এখন জেলে আছে। পেটের দায়ে গিয়েছিলো এন জি ও 'র কাছে।
ঋণপত্রে টিপসই দিয়েছিলো। শতো শতো কিস্তি খেয়ে না খেয়ে পরিশোধ করেছিলো।
গেলাবারের বানের জলের মতো কিস্তি শুধুই বাড়ে.....
তবুও আর শেষ  হয় না।
এই ভালোবাসার নাম কী কমলার মা জানে না। জানতে চায়ও না।


সারাদেশে কমলার মায়ের কোনো অভাব নেই। তাদের দুর্গতিরও কিনারা নেই।
তাদের পক্ষে দাঁড়াবার কেউ নেই।
আমি জানি, কলম হারিয়ে গেলেই বিদ্যা হারিয়ে যায় না।
বই চুরি হয়ে গেলেই জ্ঞান চুরি হয়ে যায় না।
এতো কিছুর জানার পরেও খেলাপি ঋণের খবর কেউ নেয় না।
নিতে সাহসে কুলোয় না।