ভালোবাসার আলিঙ্গনের বীজ
একটু একটু করে বেড়ে ওঠে জঠরে
অঙ্কুরোদ্গম নব রক্তের স্রোতে
মাতৃত্বের আকুল আবেদন অধরে,
অজানা পুলকের শিহরনে
কেঁপে ওঠে বারে বারে কুমারীর ওষ্ঠ
অশ্রুধারায় সারা বসন সিক্ত
শরীরের শিরা-উপশিরায় কষ্ট,  
কুমারী হয়েও সে মা
কুরে কুরে খায় আশঙ্কিত মন
মা হয়েও কুমারী
পিতৃত্বের অকূল নির্বাসন।
  
ঝড়-বৃষ্টির তাণ্ডব লীলায়
কুঁড়ে ঘরে ওঠে নবজাতকের ক্রন্দন
দশ মাস দশ দিনের যন্ত্রণা
মাতৃত্বের হাসিতে এনে দেয় তৃপ্তির স্পন্দন,
মাতৃত্ব মানেনা কুমারীত্ব
নবজাতকের মাথায় স্নেহের পরশ
ভেঙ্গে দেয় সব দুর্বিষহ দুর্গ
মানুষ সত্যের মতই মাতৃত্বের হরষ,  
‘ওরে তুই কেন এলি
এই অবোধের কোলে
অসহায় হব না আমি
বাঁচাব নিজ পরিচয় সম্বলে’ ।।