কথাটা বলি বলি ইচ্ছে করেও বলতে না পেরেই বুঝেছি ,
ইচ্ছে নয় ইচ্ছের ছদ্মবেশ;
ইচ্ছে কি থামতে জানে?-সেতো সদা ব্যস্ত তাই দুরন্ত :
আস্তাবলে আটকে রেখেও,
লাগাম এঁটে দিয়েছি ওদের দৌড়াত্মের মুখে,
শুধু তোমার কথা রাখব বলে।


সময় আমাকে নির্দেশ করে-
যত্ন করে ধুতে হবে মনযোগে মুছতে হবে,
মনের নিরিবিলি মনিকৌঠা!
তোমার জন্য একটা কবিতা লিখি,
কতই না সাধ তোমার :


কিছু মননের প্রয়োজন নেই এমনতো হতে পারে না।
অথচ শুধুই মনে পড়ে যায়,
স্বপ্নের ঝুড়ি মাথায় তোমার উদভ্রান্ত চেহারার ছবিটা!
তুমি তোমার মতন গান বাঁধলে-
নাহয় আমি তোমার কাছে হলেম অতি নগন্য
তবু কবিতা লিখ আমার জন্য :
কখনো বললে-
যদি জানতে চাও আমার কিসের ব্যথা,
জানিনা জানাব আমি কিভাবে তোমায়;
হয়ত আমিই কলি কুসুম তোমার কথা,
সুবাতাস ভরে থাক গন্ধ বিধূর বেদনায়!


তোমার আকুলতা সেদিন আমার নিদারুণ ঠেকেছিল
তুমি বলেছিলে-
যদি পারতেম বৃষ্টি মাখব সারা গায়,
যদি পারতেম ছুটে গিয়ে ছুঁয়ে নেবো সোনা রোদ্দুর
আম কাঁঠালের বনে আলোয়ছাায়ায়,
হারাব নিরুদ্দেশে দুপুর বেলায়
যদি পারতেম কুশিয়ারি জুরি আর পদ্মার
বুকভরা সোহাগের পরাগে পরশমনি,
তরী বেয়ে ভেসে যাব অজনার স্রোতে-
যদি পারতেম ঋতুরাজ বসন্তের অহংকার,
কোকিলের কুহু রব -
গেঁথে নেব আপন সংগীতে।।


অন্য কোন এক বিষণ্ণ সন্ধ্যায় হটাৎ কি ভেবেছিলে,
বলেছিলে-শৌখিন রেঁস্তোরায়,
চারপায়ি সামনায় কেদারায় বসে,
কাঁটা চামচের খোঁচা খাদ্যকে পিষে
লাগে বুঝি বেশ?
কখন যে মুজে আসে চোখ বিহ্বল আবেশ!
নাই বা খেলেম তবু-খাদ্য তালিকা শুনি মনে হয়
জীবনের এইতো বিজয়ঃ
অন্যথা সব  কিছু বৃথা;
মহাজন অনুক্ষন এমনইতো পাঠান বারতা।।


নন্দন চত্বরে মূখ্যমন্ত্রী থেকে অধ্যাপক,
কবি থেকে ভিখিরি সকলেই যায়
তুমিও ছলে তাই।
আছড়ে পড়েছিলে এক জীবনমুখি কবির পায়ে
পুরস্কৃত কবির সম্বর্ন্ধনা উৎসব ছিল
পুরস্কার হাতে সোপান অতিক্রম করছেন
নামলেন-অন্তরঙ্গ ভাষণ;
হৃদয়ের ছবি-
অন্ধকার অন্তরালে ওই যারা,
আমি যে ওদেরই কবি;
ওই সব ম্লান মুখে দিতে হবে ভাষা
সম্পূর্ণ হতেই হবে অচ্ছ্যুৎ স্বপ্নিল আশা
নূতন অরুণোদয় ওদেরে জানাবে জেনো,
আগামী প্রাতের ওরা চির উদয়নঃ
ব্যবধান ঘুচে যাবে-
মিলে যাব আমি তুমি এবং ওরাও
সত্য হবে এক প্রান-অভেদ জীবন!


তুমি বললে-
গত আর আগামীর কথা থাক কবি
যদি পার এঁকে নাও মুহূর্ত্তের ছবি
দুটো টাকা পেলে যাব ফুটপাতে দোকানির
কাঙাল ভোজনে
দূরে রেখে ভাল রেখো সামিল করো না যেন
তোমার জীবনে।


তোমার শীর্ণ হাতের শীতল স্পর্শে,
কবির সর্ব অঙ্গ কেঁপে উঠল-ক্রুদ্ধও হলেন খানিক
তুমি বুঝেছিলে,
কবির পৃথিবীটাও কবির জীবনের সীমা ছাড়িয়ে নয়!
আমি বুঝলাম তুমি যন্ত্র আমি যন্ত্রী দোষ নয়,
দূষণের হাতছানি!
আমাকে নয় তোমাকেই আমার প্রয়োজন
আমি মিশে আছি তোমারই বিচিত্র ভঙিমায়
মিলে আছি তোমার চলমান জীবনমুখি কবিতায়!


তবে তাই হোক সখা,
তোমার আমার সীমান্ত রেখা
মুছে দাও পার যদি;
যেমন মিলেছে সাগর নদী -
আমাকেও করো ঢেউ;
সময়-আত্মা আনুক বার্তা
নই পর নই কেউ


নাম শুনে মনে হয়