এই সুন্দর পৃথিবীতে বাঁচতে বড় ইচ্ছে হয় জানেন ;
ইচ্ছে হয় আপনার সাথে ঘুরে আসি দূরে কোন ,
পাহাড়ি সন্ধ্যার ঝাউ বনের নির্জণ অন্ধকারে ,
ওই অন্ধকারটা সাক্ষী রইল-
আমরা শপথ নিলাম ,
নিরঙ্কুশ আত্মার আনন্দে পয়ারের ছন্দে
কবিতার জন্ম দিলাম
তোমার বেদনা আর আমার চোখের জলে
যদি তাকে সাজিয়ে নিলাম
তবে জেনো পাথরের বুকে তাকে রেখে যাব খোদই করে
কখন না যেন পড়ে চাপা কঠিন পাথরে !


কিম্বা ধরুন অনাবিষ্কৃত লোকালয় শূণ্য সাগরের এক দ্বীপ
অভিযাত্রিক আমরা -আমাদের দুঃসাহসী পানসী তরী,
সহসা সেখানের মাটির আলিঙ্গনে মন্ত্রমুগ্ধ বিষ্ময়ে
চকিতে চিত্রার্পিত !
আমাদের কবিতা এসে দাঁড়িয়েছে নিখুঁত সজ্জায় ;


বলল-আমার প্রতি অঙ্গে মিশে বিশ্ব প্রাণের কনা ,
তাইতো আমার মাথার উপর আলোর সামিয়ানা ।
জন্নত হোক বেহস্ত হোক স্বর্গ হয় হোক ,
না হয় হোক প্যারাডাইস বা হেভেন অথবা ইডেন -
আমার রূপের অতীত রূপে মোহের নেশা কাটুক ;
শব্দ বাধা সরিয়ে দিয়ে ওই তিনি আসছেন !


এবার ভাবুন ওই তিনির বাইরে আমরা কে ? আমরা তাঁরই ছায়া মাত্র ;ছায়া কায়াকে ছাপিয়ে যত দীর্ঘ হতে থাকে অস্তাচলের ঘন ঘন হাতছানি ততই অবাধ্য
হয় ;সেই বীভৎস অন্ধকারৃে চিনতে পারিনা কেউ কাউকে ।মা বাবা ভাই বোন স্ত্রী পুত্র কন্যা সব সম্পর্ক
এক কথায় প্রকাশিত হয়ে পূর্ণচ্ছেদের প্রাচীর বন্দী হয়
'খাদ্য-খাদক 'জাতি বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের ব্যক্তিত্ব
হারা অস্তিত্ব একেই ধর্ম আখ্য দিয়ে মচ্ছোবে উন্মত্ত হয় !