সে কবিতা লিখতে জানত না
ভালবাসত কবিতাকে, ফুলকে, বসন্তকে
জ্যোৎস্না রাতের মৃদু আলো-কে, স্বপ্নকে
কিন্তু সে কবিতা লিখতে জানত না।


তবু সে ভোরের  শিশিরকে ধরতে চাইত
ভোরের শিউলিকে আলতো ভাবে কোলে নিত
নীল আকাশের সাদা মেঘগুলোকে ভালবাসত সে
কী যে ভালবাসা! যেন কোন দিন শেষ হবার নয়
কিন্তু সে কবিতা লিখতে জানত না।


সন্ধ্যার ব্যস্ততার মাঝে সে নিরব থাকত
কি যেন খুঁজত সে সেই ব্যস্ততার  মাঝে
অন্ধকার ও যে সুন্দর হতে পারে সে তা বুঝত
সে বুঝত অসুন্দরের সুন্দরকে
ক্ষুদ্রের মাঝের বৃহৎ কে
শূন্যের মাঝের বিশালতাকে
আর অপ্রাপ্তির মাঝের সুন্দর স্নিগ্ধ এক প্রাপ্তিকে
কিন্তু সে কবিতা লিখতে জানত না।


দূরের পথটি ভালবাসত সে
তার আঁকাবাকার মাঝে, কি যেন এক মায়া
দূরে গিয়ে আবার ফিরে চাওয়া
নিঃসঙ্গতার মাঝে সেই পথে
কেমন যেন এক  প্রশান্তি পেত সে
অনেক কিছু ভাবত না সে
অনেক কিছু জানত না সে
সে শুধু দেখত-
বৃষ্টির এক ফোটা জল কত সুন্দর হতে পারে
কত আলো থাকতে পারে ঘাসের
কি আশ্চর্য সুন্দর হতে পারে ছোট্ট একটি ফুল
কত নবীনতা লুকিয়ে আছে পাতায়
কিন্তু সে কবিতা লিখতে জানত না।