এক গ্রীষ্মের অলস ঝাঁ ঝাঁ নির্জন দুপুরে,
পৌঁছে যায় অবসন্ন মন - ছেলেবেলার সুরে,
ওই মায়াভরা কড়িবড়গা, ছাদের আলসে ;
এক টুকরো জ্বলন্ত রোদ ভাগ করে বসে !


ঘুমন্ত মায়ের নিষ্ফল প্রচেষ্টা করে নস্যাৎ,
লম্বা ঝুল বারান্দার রেলিং-এ হঠাৎ,
রকমারি টক-মিষ্টি আচারের সমাহার;
পথের পানে চেয়ে, না জানি অপেক্ষা কার?


সেই একাকীত্ব প্রতীক্ষার, উদাসীন ভাবনার,
দোলনায় কিশোরী মেয়ের আকাশ কুসুম কল্পনার!
ইশ! যদি দেখা পাই অ্যাসটেরিক্স বা টিনটিনের?
পাবো কি হদিশ,সেই অদ্ভূত আকাশযানের!


যদি রূপকথার রাজকুমার সত্যিই এসে পড়তো?  
কালো পক্ষীরাজে কতোদূর বেরিয়ে আসা যেতো!
জলপরী-রা এসে কবে যে ম্যাজিক পেন দেবে,
অঙ্ক পরীক্ষার ভয় ফুৎকারে পালাবে!


যদি পেতাম বাঁটুল-এর গায়ের জোর,
দিতাম করে সোজা সব দুষ্টু লোকেদের!
আচ্ছা! হাঁদা টা আর একটু বুদ্ধিমান হলে কেমন হতো?
ভোঁদা আর পিসেমশাই এর বকাটা কম খেতো!


আজ; গ্রীষ্মের তপ্ত রোদের নিঃসঙ্গতায়,
অবিরাম হাতড়ে চলেছি স্মৃতির পাতায়,
বেঁচে থাকার তরে অবিশ্রান্ত পথ চলা,
পাবো কি ফিরে, আমার শৈশবের দুপুরবেলা!


১৯শে এপ্রিল' ২০২০