নবি ইয়াসা যখন বার্ধক্যে উপনীত
হেদায়তের কাজে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত
চেয়েছিলেন তিনি আপন দায়িত্বের
উত্তরসূরি খুঁজে তাঁকে দেবেন দায়িত্ব।
তিনটি গুণের অধিকারী পাবেন যাকে
ইয়াসা নবির একান্ত ছিল আশা
নবুয়তের গুরুভার সঁপে দিয়ে
তাঁকে দেবেন দুয়া ও ভালোবাসা ।
তিনটি গুরুতর কঠিন পরীক্ষার একটি
হলো সারাদিন রাখতে হবে রোজা
দ্বিতীয় ছিল সারারাত জেগে তাঁকে
পড়বে নামাজ , যাবে না চক্ষু বোজা।
তৃতীয়টি অধিক কঠিন -- তিনি হবেন
সম্পূর্ণ রকম ক্রোধ থেকে মুক্ত
ইয়াসা নবি তাঁকেই করতে চান
নবির গুরু দায়িত্বে করবেন যুক্ত ।
একই প্রশ্ন পরপর তিনটি দিনে নবি
জানতে চাহেন কে আছে এমন জন
করবে পালন আমার পরবর্তী কাজ ভেবে
জীবনের লক্ষ্য আছে  এই সব মূলধন?
একটি যুবক দাঁড়িয়ে উঠে জানান তাঁকে
আমি আছি হে মাননীয় নবি
দায়িত্ব যা দেবেন আমায় মাথানত করে
করবো পালন রাজি সবই।
শয়তানরাজ ইবলিশের হলো মনে উদয়
যে ভাবেই পণ্ড করবো এর আমল
জুলকিফল নামের সেই যুবকের পিছনে
পড়লো শয়তান পণ করে
পূর্ণ যুবক জুলকিফল দিনে রোজা রেখে
একটুখানি নিদ্রা যেতেন দুপুরে
কর্মব্যস্ত নানান কাজে নিজের দরবারে
ঢোকে মানুষের অবিকল রূপটি ধারণ করে
শয়তান ঢোকে তাঁর ঘুমের ঘোরে ।
মনুষ্যবেশী শয়তানের শুনে সকল কথা বলেন
তাকে কাল সকালে হবে তার সমাধান
পরের দিনে সকালবেলা সেই বৃদ্ধ না এসে
ঘুমানোর সময় এলো বৃদ্ধবেশী শয়তান।
জুলকিফল বাড়ির লোককে বুঝিয়ে বলে
কাউকে যেন ঢুকতে না দেয় দুপুরে
বাধা পেয়ে শয়তানের আসল রূপে
মানুষ বেশে চালাকিতে তোকে ঘরে
মুহূর্তে ঠিক সঠিক ভাবনায় বিজ্ঞ জুলকিফল
বুঝতে পারেন নিজের জ্ঞানে
হাতেনাতে ধরে ফেলেন মানুষ বেশী
ইবলিশ নামের শয়তানে ।
এরপরে যায় দূর হয়ে সকল রকম বাধা
নবির গুরু দায়িত্ব পেতে
ইয়াসা নবির পরেই জুলকিফল পালন করেন
নবির সকল কার্যে মেতে ।