সাতসকালে পুকুরপাড়ে হুরুম ধুরুম শুরু
শিশু কিশোর যুব বৃদ্ধ ছাত্র এবং গুরু,
ছলাৎ ছলাৎ জলের শব্দ এপার ওপার জুড়ে
নারী পুরুষ সব বয়সের জলে হাত পা ছুঁড়ে l


চণ্ডীতলা কসবা এবং নানান পাড়া থেকে
পুকুর পাড়ে এসে সবাই জোটে সাঁতার ঠেকে,
সকাল ছ টায় শুরু হয়ে টানা অনেক বেলা
একের পর এক ব্যাচে চলে সাঁতার সাঁতার খেলা l


সুবল দাদার অনেক ধৈর্য্য সামলে পৈতাটিকে
কতো জনকে শেখান তিনি সাঁতার বিদ্যাটিকে,
তন্ময় তার নতুন ছাত্র মাত্র সে একমাসে
সাঁতার বিদ্যা করলো রপ্ত মগ্ন, অনায়াসে l


যীশু দাদার অসীম সাহস গোটা পুকুর জুড়ে
দৈর্ঘ্যে প্রস্থে এপার ওপার একাধিকবার ঘুরে,
পানু দাদার সিকুরিটির চাকরি থাকে কি না
সামনে নজর দিয়ে রাখেন, পেছন থেকে হানা l


বৌদি সে এক কাটে সাঁতার কি জানি কি ব্যাপার
চর্বি জমে পেটে ঘন যত কাটে সাঁতার,
কিন্তু যত বাকি যারা দিব্যি সাঁতার কেটে
দিনে দিনে ঝরঝরে হন কয়েক কেজি ছেঁটে l


সুদেব দাদা, টিপু দাদা সমবেত ভাবে
রোজ সকালে দিব্যি হাজির মজুমদারের হাবে,
পুকুর পুকুর অনেক অনেক ছোট এবং বড়ো
ম্যানেজ করে তার একটিতে সাঁতারুরা জড়ো l


টক মিঠা ঝাল গল্প জমে জলের উভয় পাড়ে
শেষ না হতে গল্পখানি মুখের কথা কাড়ে,
জলের ভেতর মুখ চুবিয়ে ভীষণ হাত পা ছুঁড়ে
এগোয় কে এক, সামনে বিপদ, উদয় সে জল ফুঁড়ে l


ধাক্কা লাগা এড়ায় তারা সহর্ষ চিৎকারে
রোদে জলে মেঘ কুয়াশায় হাজির কমে বাড়ে,
এরই মাঝে চলছে জীবন সুখ ও দুখের সারি
দু এক ঘন্টা জলে থেকে সবাই নিজের বাড়ি l