শুভ জন্মদিন কবি !
সময় এক বিচারক l তার তুলাদণ্ডে কিছুই বাদ যায় না l সমকালে না হোক l পরবর্তী একটি সময়ে সমস্ত ব্যক্তি, সমস্ত ঘটনার চুলচেরা বিচার হয় এবং সেই অনুযায়ী ফল আসে যা সকলকেই ভুগতে হয় l
কবি সাদা কাঁক (মেহেদী হাসান) 'পরিণতি' কবিতায় সময়ের এই অমোঘ ক্ষমতার কথা মেলে ধরেছেন তাঁর নিজস্ব কাব্যিক ঢং এ l
পৃথিবীতে মানুষের জন্ম হয় l নিজ নিজ মতো তাঁরা জীবন অতিবাহিত করেন l যেমন তাঁরা কর্ম করেন, তেমনই কর্মফল তাঁরা পান l কর্ম অনুযায়ী ফল পেতে কখনো দেরি হতে পারে l কিন্তু সময় কখনো না কখনো যথোচিত ফল অবশ্যই দান করে l যুগ যুগ ধরে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম বিষয়টি ঘটে চলেছে l যাঁরা আগে জন্মেছেন, তাঁরা কর্মফল ভোগ করেছেন l এখন যাঁরা যেমন কর্ম করছেন, তাঁদেরকেও তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে l পরিণতির জন্য সকলকেই প্রস্তুত থাকতে হয় l
সময়ের আঘাত থেকে, সময়ের বিচার থেকে কারুর মুক্তি নাই l শেষের সে দিন সকলেরই আসবে l এটা বিশ্বাসের কথা l এই বিশ্বাস থেকেই মানুষ সৎ পথে চলেন, নিকৃষ্টকে বর্জন করেন l সময়ের প্রভাবকে যথাযোগ্য সম্মান করেন l কারণ সময় রহস্যময় এবং  যথেষ্ট শক্তিমান।
এই বসুন্ধরার যে কোনো প্রান্তরে, যে কোনো শহরে যে কোনো ব্যক্তিসত্তা, তাঁর সব অনুভূতি, সব কর্ম সময়ের নজরে থাকে l সময়কে কোনো ছলচাতুরী দিয়েই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয় l সময়কালে সময়ের রায় আসবেই এবং অসৎ, অজ্ঞ ও অন্ধজনের ঘুম ভেঙে দিবে। ঘুম তো তাঁদের ভেঙে যাবে, কিন্তু সকলের হাতে নিজেকে শুধরে নেবার মতো যথেষ্ট সময় থাকবে না l ফলে সময়ের অমোঘ শাস্তি তাঁদের ভোগ করতে হবে l
প্রতিদিন সূর্য যেমন উদিত হয়, তেমনই পশ্চিম আকাশে অস্ত যায় l ঠিক যেভাবে প্রতিটি ব্যক্তিজীবনের আগমন ও প্রস্থান হয় l পরিণতি নিয়ে মানুষ ভাবেন না l নিজের খেয়ালে কর্ম করে যান l স্বার্থ দ্বারা চালিত হয়ে অনেক অন্যায় কর্ম করে ফেলেন l এই অন্যায় করতে তাঁদের হৃদয় ভয়ে কেঁপে ওঠে না l কিন্তু মানুষের করা প্রতিটি ন্যায় ও অন্যায় কাজের সমুচিত প্রতিদান দেয় সময় l তলোয়ারের ধার যেন সময়ের মার l মানুষকে এই পরিণতির জন্য অপেক্ষা করতে হয় l এই পরিণতি অনিবার্য l


কবিকে জানাই শুভকামনা !