জীবনের অনেকটা পথ পেরিয়ে বর্তমান কবিতাটিতে কবি যেন পিছন ফিরে চেয়েছেন l জীবনভর গড়ে ওঠা সম্পর্কের সরজমিন কাটাছেঁড়া করেছেন l সম্পর্ক বিষয়টি যেন স্থির নয় l জোয়ার ভাটার মতো তার গভীরতা, তীব্রতা কমে বাড়ে l "সম্পর্কের জোয়ার-ভাটা" কবিতায় কবি অনিরুদ্ধ বুলবুল সময়সমুদ্রে অবগাহন করেছেন l সম্পর্কের নানা স্তরে সময় তার বিভিন্ন রূপ নিয়ে উপস্থিত হয় l মানুষ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে নিজেকে তুলে ধরে l কখনো বিষম পরিস্থিতিও তাকে টলাতে পারে না l আবার কখনো সামান্য প্ররোচনায় তার পদস্খলন হয়ে যায়, যার সরাসরি প্রভাব সম্পর্কের চরিত্র পরিবর্তন করে দেয় l
মানুষের যখন নানা দিক থেকে খারাপ সময় যায়, তখনো তার হৃদয়ে প্রেমের উদ্ভব হতে পারে l তার সেই প্রেমের আকুলতায় সাড়াও মেলে l সমস্ত জড়তা বাধা ছিঁড়ে দিয়ে প্রেমের উচ্ছাসে কুলুকুলু ঝর্নাধারায় সাথী ছুটে আসে l প্রেমের জয় হয় l কিন্তু এই সম্পর্কেও ওঠা পড়া থাকে l থাকে ভাঙা গড়া l যে বিশ্বাসের ভিত্তিতে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, সেই বিশ্বাসের ভিত নড়ে গেলে ভালবাসার সম্পর্কে চিড় ধরে l যে কারণে অনেক প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়, কিন্তু সব সম্পর্ক পূর্ণতা পায় না l যথার্থ অর্থে প্রেম সফল হয়ে ওঠে না l  
অনেক প্রেমসম্পর্ক ঠিকভাবে বিকশিত হয় না l অন্তরের ভালবাসা অন্তরবাহিনী ফল্গু নদীর মতো অন্তরেই থেকে যায় l আর একটি প্রেমের সঙ্গে তার পূর্ণমিলন হয় না l ভেতরের ভালবাসা ভেতরেই হাহুতাশ করে কেঁদে মরে l
প্রেমের পরশে শিল্পীর তুলি জলরঙে কত রঙের ছবি এঁকে যায় l কিন্তু অনেক প্রেমিক প্রেমিকাই নিজেদের জীবনে সেই রঙকে সাকার করে তুলতে পারেন না l


কবিকে জানাই আন্তরিক শুভকামনা !!