বলি, যুগ পাল্টায় l কতগুলো মূল জিনিস,
সেগুলো কি সব যুগেই একরকম থাকে না ?
যেমনটা, শোনা যায়, নাকি হয়েছিল, গল্পে l
আইনষ্টাইন এর যুগে, তাঁর নিজের জীবনে l
সুপারস্টার নর্তকী শহরে এসেছেন l সেখানে
এত ভীড় ! আইনস্টাইন এর বক্তব্য কে শোনে ?
কি করেন বেচারা আইনস্টাইন ! দেড় ঘন্টা
বলবেন প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন l তিনিও টিকিট
জোগাড় করে সেই নর্তকীর আসরে হাজির !
আর পায় কে ? আইনস্টাইনকে সকলেই চেনেন l
হুলস্থূল পড়ে গেল l উদ্যোক্তারা ব্যতিব্যস্ত, দিশেহারা l
শুরু হয়ে গেল মহান বিজ্ঞানীকে বরণের পালা l
দর্শক জনগণ উঠে দাঁড়িয়ে করতালিতে বিজ্ঞানীকে
সম্মানিত করলেন l সুপারস্টার নর্তকী বললেন,
তাঁর ক্ষুদ্র অনুষ্ঠানে মহান বিজ্ঞানী উপস্থিত হয়ে
তার জীবনকে ধন্য করেছেন l আয়োজকের নির্দেশে
সঞ্চালক ভদ্রলোক আগন্তুক বিজ্ঞানীকে অনুরোধ
করলেন দর্শকদের উদ্দেশে কিছু বলবার জন্য l
আইনস্টাইন মঞ্চে l তিনি আজ বিজ্ঞানের কোনো
বিষয়ে দেড় ঘন্টা বলবার প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন l
সঠিক সময়ে উপযুক্ত স্থানে পৌঁছে শোনেন কোন এক
সুপারস্টার নর্তকীর অনুষ্ঠানে সকলে গেছেন l
তাই তাঁর দর্শকাসন ফাঁকা l এখন সেই দর্শক
তাঁর সামনে l শ্রদ্ধাবনত সকলে বসে আছেন l
আইনস্টাইন সুযোগের পূর্ণ সদ্-ব্যবহার করলেন l
প্রাথমিক কিছু কথাবার্তা সেরে নিয়ে তিনি বলে চললেন
বিজ্ঞানের সেই গূঢ় অন্তরবাণী যা বলবার জন্য তিনি
আজ প্রস্তুত হয়ে এসেছিলেন l প্রবল করতালির মধ্যে
যথাসময়ে বিজ্ঞানীর বলা হল l তিনি এসে বসলেন
দর্শকাসনের প্রথম সারিতে l অন্য সকলের সঙ্গে
তিনিও উপভোগ করলেন নিবেদিতপ্রাণ, সুপারস্টার
নর্তকীর জীবনের সেরা উপস্থাপন l যুগের ক্ষিদে !
অনেক বিকল্পের মধ্যে পছন্দের বিষয়টি সে
নির্বাচন করে নেয় l কিন্তু অন্যরাও বসে নেই l
তাঁরা লেগে রয়েছেন নিজ নিজ বিষয়ে, জাগতিক
কর্ম, অধ্যয়ন, গবেষণায় l বিবিধ কর্মযজ্ঞে লিপ্ত যুগ
সমাজ l নিজের আবিষ্কৃত বিষয় যুগকে গেলানোর জন্য
তাঁরাও সক্রিয় আছেন সুযোগ তাঁরাও পাচ্ছেন, বা
করে নিচ্ছেন এবং তার সদ্-ব্যবহার করছেন l
এইভাবে চলছে দেশ l
আমরা এগিয়ে চলেছি এবং আনন্দেও আছি l