অদৃশ্য শক্তি (দুই) পড়ার অনুরোধ থাকলো। যারা প্রথম খন্ড পড়েনি তাদের জন্য নিচে প্রথম খন্ড দেয়া হল--    


                অদৃশ্য শক্তি (দুই)
                        --জগদীশ চন্দ্র মণ্ডল
                              
চাইলে কাছে পাও না বলে ভাবছো তাঁকে ভুয়া,
দুর্বুদ্ধিতে নিজেই খুড়ছো নিজের ধ্বংস কুয়া।
বুদ্ধি দিয়ে বিবেক দিয়ে সৃষ্টি করে মানুষ,
পাঠিয়েছেন ধরায় তিনি সঙ্গে দিয়ে জ্ঞান-হুঁশ।


পশুর মতো চুলায় দিয়ে বিবেক-বুদ্ধি-জ্ঞান,
পরের ক্ষতি করে করো আত্মস্বার্থে ধ্যান।
যা খুশি তাই করে ভাবো, দেখবে এসব কে?
যার ইশারায় বিশ্ব চলে দেখছে বসে সে।


তার-ই সৃষ্টি অমূল্য ধন বেঁচে থাকার বায়ু,
যার অভাবে ক্ষণকালও থাকেনা তো আয়ু।
বাতাস কি কেউ ঠেলতে পারো ডাইনে থেকে বায়ে?
উত্তর থেকে পুবে ঠেলতে পারো মুঠোর ঘায়ে?


গাছ-গাছালি, বৃক্ষরাজি দিচ্ছে পুষ্ট ফল,
মেঘের ভেলায় সমুদ্র দেয় শস্য ফলা জল।
প্রকৃতির এই উপহার সব সৃষ্টির সেরা দান,
গর্বকারী বিজ্ঞানীরা দিচ্ছে অস্ত্রে শান।


আরাম-আয়েশ সৃষ্টি করতে বিজ্ঞানীরা ভাই,
করছে এমন অনেক সৃষ্টি যার তুলনা নাই।
সে সব সুযোগ পাচ্ছে কারা? গুটিকয়েক লোক,
সাধারণে পোহায় দুর্ভোগ, পাচ্ছে দারুন শোক।


ভগবানের সৃষ্টি দেখো সমান সবার জন্য,
নেই ভেদাভেদ, নয়তো সে সব কোন কারো পণ্য।
এমন সাধ্য বিজ্ঞানীদের নেই কিন্তু ভাই জেনো,
স্রষ্টার সৃষ্টি সার্বজনীন এই কথাটা মেনো।


অকৃতজ্ঞ মানুষগুলো আত্মস্বার্থে মগ্ন,
পরের ক্ষতি করার জন্য তারা ভীষণ নগ্ন।
অদৃশ্য সেই শক্তি থাকে সদাই নির্বিকার,
পাপের শাস্তি পাবে সবাই কেউ পাবে না ছাড়!


০৫/০৯/২০২১ ইং


               অদৃশ্য শক্তি (এক)
                       --জগদীশ চন্দ্র মণ্ডল
                        
তোমরা যারা মানো নাকো আল্লাহ, ভগবান,
মৃত্যুকে রোধ করতে পারলে বলবো শক্তিমান।
করতে পারো বৃষ্টিকে রোধ?মেঘের আনাগোনা?
বসুন্ধরার গর্ভে দেখো কেমনে জন্মে সোনা।


একটি সূর্যের চারিপাশে নিজের কক্ষপথে,
অবিরত চলছে গ্রহ অদৃশ্য কোন রথে।
কোটি কোটি বছর ধরে চলছে একই ভাবে,
কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি কি তোমরা খুঁজে পাবে?


সৃষ্টির সেরা বলে তোমরা করছ তো খুব দাবি,
এক সারিতে দাঁড়ালে দশ খাচ্ছো ভীষণ খাবি।
সারিগুলো আঁকাবাঁকা বক্র তারের মতো,
তবুও তোমরা বুদ্ধিমত্তার জাহির করো কত!


দিনের বেলা সূর্যতাপে আমরা করি কাজ,
রাতের বেলায় জোছনা করে মনের মধ্যে রাজ,
রৌদ্রে পোড়া, ক্লান্তি ঝরা দেহ নিদ্রা চায়,
ক্লান্তি নাশি, শ্রান্তি নাশি রাতের স্নেহের ছায়।


কার ইশারায় পৃথ্বী ঘুরে হচ্ছে দিবা-রাতি?
রবির আলোয় আলোকিত চাঁদের জোছনা ভাতি,
দিচ্ছে মনে অমিয় সুখ, চোখে স্বপ্ন আঁকি,
তার-ই ইচ্ছায় সুখে-দুখে এই ধরাতে থাকি।


অদৃশ্য সেই শক্তিকে তো যায় না করা হেলা,
জীবন শুরু হওয়ার আগেই ডুবছে জীবন বেলা,
অথচ সেই শক্তি দেখো অনন্তকাল ধরে,
দিয়ে যাচ্ছে অযুত সেবা সৃষ্ট জীবের তরে।


৩১/০৮/২০২১ ইং