মা ভবানী বস্ত্রহীনা
দেখতে মোটেই সুন্দর নয়,
তাঁর পূজোতে বাদ্য বাজে
সৃষ্টি করে সুর ও লয়।

শরীরে তার কালি মাখা
সবাই বলে 'মা কালী',
নরমুণ্ড গলায় দিয়ে
মারছে শত্রু নয় হালি।

পোশাক হীনা মাকে দেখে
করি সবাই রঙ্গ রস,
রঙ্গ করা বন্ধ রেখে
পোশাক দিলে বাড়ে যশ।

বস্ত্রহীনা মাকে বস্ত্র
পরিয়ে দিলে সন্তানে,
আশীর্বাণী শোনাতে মা
থাকবে যে তার সন্ধানে।

আদিকালে আদিম মানুষ
পরত নাকি গাছের ছাল,
তারও আগে মায়ের জন্ম
তাইতো মায়ের এমনি হাল।

সন্তানেরা মায়ের লজ্জা
ঢাকতে পারে যদি চায়,
কটু বাক্য নিন্দের ঝড়
সামলানোটা তাদের দায়।

মায়ের লজ্জায় সন্তান যদি
লজ্জা মোটেই নাহি পায়,
এমন সন্তান ধরার বুকে
বেঁচে থাকার কিসের দায়?

মাকে নগ্ন সাজিয়ে যারা
করল ব্যবসা এতোকাল,
তাদের চামড়া খুলি আসুন
হাজার রকম দিয়ে গাল।

ধর্মে কেহ বিশ্বাস করলে
তাতে হবে কার ক্ষতি?
পারলে ধর্ম সৃষ্টিকারীর
পাল্টে ফেলো হাল গতি।

ভবেশ বেটার মূর্তি গড়ে
করো সবাই আরাধন,
বন্ধ করো লিঙ্গ গড়া
থাকুক সুখে বাছাধন।

আমি তো নই ধর্ম ভীরু
নই তো মোটেই ধর্মান্ধ,
সকল ধর্মের বিশ্বাসীদের
শ্রদ্ধায় আমি জন্মান্ধ।

কারো বিশ্বাস নিয়ে যেনো
নাহি করি নিন্দা-রব,
সবার বিশ্বাস রক্ষা হেতু
যেনো সদাই হই সরব।

১০/১১/২০২০ ইং