বারুদের একটা মিষ্টি গন্ধ ভেসে
আসছে রাস্তার ওধার থেকে।
বন্দুকের গুলো মিসফায়ার হয়ে
কেড়ে নিল একটা কুকুরের প্রাণ।
পেটে ছিল ছটা বাচ্চা।
একটারও কান্না শোনা গেলো না।
সাইরেনের শব্দ ক্ষণে ক্ষনে
একটা আমেজ নিয়ে বয়ে বেড়াচ্ছে
রেপ হয়ে যাওয়া ত্রয়োদোশী
এক মেয়ের যোনি থেকে চুঁয়ে পরা রক্তের
উপর দিয়ে।
একটা তারা খসে পড়লো টুপ্ করে।
অন্ধকার চিরে সার্চলাইটের আলো
খুঁজে বেড়াচ্ছে একজোড়া চোখ,
দু-জোড়া, শত-জোড়া, সহস্র-জোড়া
চোখের আগুনকে।
আগেই প্রাণ নিতে হবে।
নাহলে যে ঐ আগুনে দগ্ধ হতে হবে
নিজেদের, শেষবার জল খাবার সময়টুকুও
পাওয়া যে যাবে না।
কামানের চাকার দাগে জল এসে জমে,
তাতে চোখের জলও মিশে থাকতে পারে বোধহয়।
মাছির ভনভনানির সিম্ফনির
মাঝে থমকে দাঁড়ায় এক বৃদ্ধার হাঁপানির কষ্ট।
কিছুতেই ইনহেলারটা খুঁজে পাচ্ছে না।
শেষবারের মতো দেখে নিল ঘোলাটে চোখ মেলে
তার ছেলের ছবিটা, যেটা টাঙানো থাকে
তার স্বামীর ছবির পাশে।
কান্নার ফোঁটা পর্যন্ত শুকিয়ে যায় ভয়ে।
যদি তাকেও গুলিবিদ্ধ হতে হয়,
ধর্ষিত হতে হয়,
জখম হতে হয়।
রাত নামলো যবনিকা হয়ে
ধ্বংসস্তূপের উপর, লাশের উপর,
রক্তের উপর।
বিধাতা, তুমি ঘুমাচ্ছ কি এখনো?