ঘোর লেগে যাওয়া চোখে দেখেছি তোমার খোলা বুক,
আবছায়া পথের পাশে নুয়ে রয়েছে শব্দেরা,
চিন্তার নাগপাশে জ্বলছে ভালবাসা রন্ধ্রে রন্ধ্রে,
শেষ রাতের উষ্ণতায় আরেকবার বাঁচতে চাওয়া।
ঢিমে তালে তখনো আল্পনা কাটছে সময়,
বাস্তবিক রূপায়নে নিয়ন্ত্রিত কিছু চাওয়া,
শ্যাম অঙ্গে রাধিকা তখনও লেগে আছে ঠোঁটের ছাপে,
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নে তোমাকে আরেকবার কাছে পাওয়া।
পতিতা তুমি নও , নও তুমি ছন্দের শেষ দাড়ি কিংবা কমা,
মুমূর্ষু কুয়াশার ভিড়ে ঘুমিয়ে আছে আবেগ,
অথবা একফোঁটা শিশিরের ক্রন্দনরত মৃত্যু,
হিসেবের খাতায় চোখের জলটুকু থাকে জমা।
উড়িয়ে নিয়ে যাক বিনম্র হাওয়ায় কথাগুলো,
ভেসে চলে যাক নাবিকের গাল ছুঁয়ে অনেকদূর,
কোনো এক দূরদ্বীপে খেলাঘর বেঁধেছি বালুচরে,
ঢেউয়ের আদরে ভেঙেচুরে হচ্ছে নিখোঁজ।
আমার শেষ চিঠিতে ছিলোনা কলমের কোনো আঁচড়,
চুপকথা হয়ে ঘড়ির কাঁটা তখনও স্তব্ধ,
অসহনীয় প্রেম বাড়তে চাইছে, বাড়তে দাও তাকে,
সন্ধ্যাপ্রদীপে সেজে উঠুক হাজার কথার কবর।