বাইরে বৃষ্টি পড়ছে।
ঘড়ির ক্লান্তিহীন টিক-টিক শব্দ
বেডরুম জুড়ে,
তখনও বিদ্যুত চমকায়নি।
কালো অন্ধকারের দেহে চাপ চাপ
অধিকারবোধ লেগে আছে,
জানালার সামান্য ফাক থেকে
হাওয়া আসছে, সোদা গন্ধটাও।
হাইওয়ে ফাঁকা আজ, নেই
কোনো শহরের কোলাহলের সত্তা
বিরামহীন চোখের পলকে থেমে
থাকে দু-ফোটা চোখের জল,
অথচ
বাইরে তখনও বৃষ্টি পরছে।


ফ্যানের ব্লেডগুলো আস্তে আস্তে ঘুরছে,
তাকিয়ে আছি অনেক্ষন ধরে,
তোমার চোখে ।
কিছু কি দেখতে পাচ্ছি?
নাকি সবটাই আমার আন্তরিক স্মৃতিসত্তার
মরিচিকা,
নাকি একটা অসমাপ্ত কবিতার প্রসব যন্ত্রণা ।
ঘরময় তোমার দেহের ঘ্রাণ,
উইন্ডচাইমে বাতাস ঝাপটে মিশে যাচ্ছে,
কতগুলো শব্দ জন্ম নিল তার থেকে এই মাত্র,
মৃত বাতাসের কবর ফুঁড়ে
ভিজতে চাইছিনা একটুও,
আর
বাইরে শুধুই বৃষ্টি পরছে।


সোফাটার ওপর শুয়ে আমারই
মত দেখতে কেউ একজন,
দেহটা ক্ষতবিক্ষত নখের আচড়ে
ফুলে যাওয়া নিচের ঠোটে তখনও
লেগে আছে তোমার উষ্ণতা।
থকথকে বীর্য গড়িয়ে পরছে মাটিতে-
কার্পেটটা ভিজে যাচ্ছে তোমার
অকথিত আকাঙ্খার স্রোতে,
একইভাবে ।
তীব্রতর ভালবাসার অপ্রতিরোধ্য মার্চপাস্টে
আমি নতজানু হই ।
চোখের ভাষায় বর্ণপরিচয়ের গন্ধটুকু
পর্যন্ত নেই,
কিন্তু আছে কিছু অপ্রকাশিত সিম্ফনির
সুর;
চোখটা আসতে আসতে বুজে আসছে,
টিক-টিক শব্দটা ক্রমে ক্রমে মিশে
যাচ্ছে আমার শরীরের সাথে
এবং
বাইরে তখনও বৃষ্টি পরছে।