সময়ের গায়ে হাজার সুতোর বুনন দিয়ে
আমি তোর নাম লিখে যাই।
তোর ভিতরে সারাদিন নিজেকে খুঁজে ফিরি,
বিষণ্ণ সকালে অথবা ছন্নছাড়া দুপুরে ।
বৃষ্টিকে তুই ভেবে কত আদরে
আমার রাত কেটেছে, কেটেছে ভোর।
একথা কোনদিন কাউকে বলতে পারিনি,
জানবেনা কেউ কোনদিন।


তোর জন্য আমি আগুনে ঝাঁপ দিতে ও ভয় করিনা ।
কৃষ্ণচূড়ার লাল আগুনের লালে এক হয়ে,
আমার বেদনা এক বিশেষ রঙ ধারন করে।
হৃদয়টা টুকরো টুকরো হওয়ার এক
বিষণ্ণ সুর শুনতে পাই,
তখন তীব্র গ্লানিতে মন মগজ পুড়ে একাকার,
কিন্তু আমার ভেজা চোখ শুধু তোকে ই খুঁজে।


আমার বেদনা গোপন করে রেখেছি
কষ্টে পোড়া এ বুকটাতে।
বার বার রক্তক্ষরণ হচ্ছে আক্রান্ত এ মনটাতে।
আগুন লেগেছে ভেবে
চাঁদ তার ঘুম ছাই করেছে,
সূর্যটার তাকানো তেও
কেমন যেন একটা বিরহ।
রাত দিন তোর ভিতরেই আমার মগ্নতা।


দুরের আকাশ টা বার বার ব্যাস্ত তারার সাথে
সখ্যতা গড়তে চাইছে,
কিন্তু মেঘটা নীল টাই পরে
আকাশকে অজানাতে ঠেলে দিচ্ছে।
বিবর্ণ আকাশ আনমনে জড়িয়ে ধরছে
বার বার সেই তারাকে ই।
আমি ও ক্রমশ ই নিজেকে গুটিয়ে
তোতেই একাকার হতে চাই।
তুই আমার সেই বন্ধু
যাকে ভেবে নিশ্চিন্তে পার করা যায়
কত বেলা অবেলা।