কত শোভায় প্রস্ফুটিত হয়ে পৃথিবীতে এলে,
হে বৈশাখ।
সুখে দুঃখে জয় পরাজয়ে উল্লাসে,
মিশে আছ হৃদয়ে,
অনেক যুগ বছর মাস কিংবা দিনে।
মনে পরে  না।
চৈত্রের আনাগোনা পার করে তুমি এলে,
হলুদ কালো শাড়ি তে, খোঁপায় এঁটে ফুল
আমি দাঁড়িয়ে।
তুমি তো অবাক
আগুন ঝরা ফাগুন পেড়িয়ে কে তুমি
বৈশাখী নারী।


করেছো উদাস,
দুহাত পেতে ভিখারির বেশে
ফিরাই নি তোমাকে।
খোঁপার ফুল খুলে তুলে দিতে ঐ হাতে,
চোখ পড়ল তোমার অতলান্ত ঐ চোখে।
শিউরে উঠেছি।


ঐ চোখের গভীরে রক্তাক্ত,
যেন কৃষ্ণচূড়া ফুটেছে ঐ চোখে।
নেশাতুর ঐ চোখে রোদ মেঘের আনাগোনা।
রোদটা বার বার গিলে খেতে চায়,
অশ্রু সজল ঐ মেঘটাকে।
কিন্তু মেঘের সাহসী পদক্ষেপে
পেড়ে উঠে না রোদটা।


তর্জন উল্লাস উচ্ছাস বা গভীর শান্ত
এই তুমি বৈশাখ।
এলে আমার হৃদয়ে ঢেউ তুলে,
অনায়াসে ঝাপটে ধর আলো আঁধারের মতো।
তোমার আগমনে আমি শিহরিত।
রহস্যময় আগুন ঝরা বৈশাখ,
তোমাকে কৃষ্ণচূড়ার অভিবাদন।