আমার প্রখরতা আঁচ করতে চেয়েছিলে বলে
সূর্যকে পাঠিয়েছিলাম।
নিন্দিত ক্রসিং ভেঙ্গে ফিরে এসে,
অকপটে কত কি বলে গেল সংগোপনে।


স্মৃতির বাড়িতে জমানো রোদ মুঠোয় নিয়ে
সবুজ ঘাসের বুকে এলিয়ে দিয়েছ
এক লক্ষ ভোর।
রোদের ধুলো ঠোঁটে নিয়ে
    আচমকা আকাশ পানে তাকালে
পৃথিবীটা ই অন্য রকম হয়ে যায়।


ফন্দিবাজ মেঘ তার বয়স কমিয়ে
আমাতে লুটোপুটি খায়।
বৃষ্টির কাছে আশ্চর্য তৃষ্ণা চেয়ে
ছুটি দিয়েছিলে সূর্যটাকে কিন্তু
ঘুমের চাবিটা নিয়ে রুগ্ন রোদ
আড়ালে লুকিয়ে ছিল বিনা অজুহাতে।
চোখের বিষাদ না বদলিয়ে
দু ফোটা হন্তারক বিষ ঢেলে দিয়েছিলাম।


এক সাঁঝ বেলায়
তুমি গিলে খেতে চেয়েছিল,
আমাকে আমার উষ্ণ পৃথিবীকে।
অচেনা ত্রাসে আমার চোখের নিচে তখন
           হতাসার ভাব।
কম্পমান আর্তনাদে
তোমার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেছি।
আমার প্রখরতাকে তখনো তুমি ছুঁতে পারনি।