সুন্দ্রাটিকি গ্রাম টিকে ঘোষণা করা যেত
একটা শোকার্ত গ্রাম হিসেবে।
চারটা শিশুর  করুন মৃত্যু
কারো হৃদয়ে নাড়া দিল না,
কারো শোক বানী পৌছাল না সেই সব
শিশুদের দ্বারে, যাদের সন্তানের জন্য হাহাকারে
আকাশ বাতাস আজ প্রকম্পিত।


আমরা সাত খুন পাঁচ খুন চার খুন
এমন কত গুচ্ছ খুন আজ অহরহ দেখছি।
সাত খুনের  সময় আমরা দেখেছিলাম,
পথের মাঝে দাঁড়িয়ে নজরুলের স্ত্রী র হাহাকার-
আমার স্বামীকে বাঁচান!
কিন্তু কেউ আসেনি।


চার শিশুর পিতারা ও পুলিশ কে বলেছিল
আমাদের সন্তানদের বাঁচান।
আল্লাহ কে ডাকেন, মিলাদ- তজবিহ পড়েন!
পুলিশ পথ দেখিয়েছিলেন সন্তান বাঁচানোর।


শামসুর রাহমানের মতো
আমারো দেশদ্রোহী হতে ইচ্ছে করে।
প্রতিবাদে প্রতিবাদে চিৎকার করে
নেভা প্রদীপগুলা জ্বালিয়ে দিতে ইচ্ছে করে,
প্রায় মৃত সভ্যতাকে অলৌকিক অদ্ভুত কাঠিতে
   জাগিয়ে দিতে ইচ্ছে করে।


কোন আনাড়ি বাদকের হাত থেকে বাঁশিটা নিয়ে
সেই বাঁশির সূরে নীরব প্রশাসনকে
জাগিয়ে দিতে ইচ্ছে করে-
ওঠো জাগো, চতুর্দিকে আতঙ্ক ছড়ানো
পশুদের থেকে রক্ষা করো,
আমার প্রিয় দেশ কে।