চাতকী দৃষ্টে চেয়ে কাটিয়েছি অনন্ত রাত
নীলাম্বরে চন্দ্রবিন্দে শুনেছি,
তোমার গোড়ালির মৃদু পদনাদ।
যার মধ্যে এটা ছিল হিমাঙ্কে বিজড়িত
একটি কনকনে আলো-আঁধারি রাত।
অধীর চিত্তে প্রতিটি প্রহর গুণেছি
কখন পাব তোমার অভিসারী সাক্ষাৎ।
যাপন করেছি, কাটিয়ে দিয়েছি;
অসহ্যময়ী সেই নিষ্ঠুর নিভৃত যামিনী।
হিমিকার হিংস্র হিমেল হূলে
থরথর কাঁপুনিতে আঁতকে উঠেছে
আমার এ' ভগ্ন উরু পিন্ড কুন্ডলিনী।
কিন্তু নির্মেঘ শর্বরীর অস্পষ্ট আঁধারে
যখন ভেসে উঠেছে হলুদ সাজে
রূপালি রঙে রঞ্জিত শশধর,
তখন শত সহস্রবার
নক্ষত্রোজ্জ্বলসম দৃষ্টিপাত করেছি
অবুঝ মনের অসম আবেগে,
নির্জ্ঞানে দৃঢ় ব্যাকুলতায়।
মনে হয়েছে,
এই বুঝি মম পশ্চাৎ কাঁধে
রাখবে তব দক্ষিন হাত।
কোন এক মূহুর্তে
বলে উঠবে অকস্মাৎ-
তুমি আমার দেবময়ী পূজণীয়
আরাধ্য ভাবি বর,
তোমার সনেই গড়ব আমার
বাসররঞ্জিত ভালবাসার ঘর।
মর্তলোকে শতলক্ষ মানুষের
জনস্রোতের জোয়ার ভাটায়,
একমাত্র তুমিই আমার
এ দেহ তরণীর হালবহর।
বিপথের পথিকৃৎ অথবা,
বিভ্রান্তিকর দিগ্বিদিকের
নিঃসঙ্গ সন্ধার মৃত্যুঞ্জয়ী দোসর।
স্বপ্নের ডানা গুণতে গুণতে
আমি হয়েছি ক্ষান্ত,
নিঃসহায় কনকনে শীতে
শীতল কুহেলিকার প্রতিটি
শিশির বিন্দুকে মনে হয়েছে
আমার-ই মত, দূর্বার অশান্ত।
তবু আমি খুঁজে যাই
তব মৃদু পদ চিহ্ন।
কেননা, স্বপ্নময়ী বাসরালয়ে
হতে চাইযে আমি তোমার
একান্ত পরান্ময়ী পরম কান্ত।।