আমি বুঝলাম তুমি রাগ করেছ,
কিন্তু আমি কি চাইব না
আমার উপর এতটুকু অভিমান কর..?
এই মূহুর্তে তুমি যদি হও অভিমানী,
তাহলে আমি স্বার্থক..!
কেননা-
রাগের গভীরে আরও অতল শীর্ষে
ভালবাসায় অবিমিশ্রিত হেঁয়ালী
আবেগটাই তো...
যাকিনা অভিমান নামেই বিদিত।
শুধুতো প্রকাশভঙ্গীর ভেদে
ভিন্ন-ভিন্ন অর্থবোধক, অর্থের প্রতিপাদক।
কেউবা স্রোতে ভাসায় বুক
নয়ন আসারে,
কেউ অতি প্রিয় বস্তু বিসর্জন দিয়ে,
অথবা, অঙ্গে রুধির রঙ্গনে।
ওগো অভিমানী !
লুণ্ঠিত আমি তব মায়ায়
আশ্রয় পেয়েছি যত, আরও চাইছি
তব ভালবাসার ছায়ায়।
ফুল সেজে গন্ধ বিলাতে চাই যে
তোমার ঐ ঢেউখেলানো রূপময়ী
যৌবনোদ্যান কায়ায়।
আজও অবধি যামিনী কাটে
কামিনী তব তনূর সুঘ্রাণ সুখস্পর্শে।
তব কেশী ঘ্রাণ উপচে এসে অনীল প্রবাহে,
মম নিদ্রা আপচে আসে প্রীতিতে-আগ্রহে।
জীবন সঁপিয়ে সাক্ষী মানছি,
আমাদের এ শৌচ মিলনকে
গড়ে তুলব শাশ্বত এক...
পবিত্র এ ভালবাসার অমৃত সুরা
পান করে আমরা হয়ে যাব
চিরন্তন, অবিনশ্বর।
তবু দোহাই তোমার
ছেড়োনাকো অশ্রুবিন্দু,
হয়ে যাবে চৌঁচিরে খান-খান
শোকাবহে মম নিরুপম অন্তরেন্দু।
প্রিয় রাগিনী !
রাগকে ঘোমটাও,
অভিমানকে করে তোল ভালবাসাময়,
আরও উৎফুল্লতর, প্রফুল্লময়ী।
আমি ছিলাম, আছি, তোমারি থাকব,
তব বক্ষে শিথান করব; আর
হয় যেন তত্রই মম প্রাণ গতঃ।