স্বাগতম হে ঋতুরাজ বসন্ত..!
হে মৌনীতাপস রূপময়ী ফাল্গুনী..!
তোমার শুভাগমনে-
প্রকৃতির আজ ঘুম ভেঙ্গেছে,
বাতাসের মর্মর ধ্বনি আর
দূর বৃক্ষান্তরাল হতে
কোকিলের কুহুকুহু তানে
প্রকৃতি আজ সাড়া দিয়েছে।।


তোমার প্রত্যাগমনেই-
প্রকৃতি সেজেছে
কমলা ও হলুদ রঙে,
অশোক পলাশের রাঙিনে
শিমুল-কৃষ্ণের
রক্তিম রূপজল দাক্ষিণে,
প্রকৃতি হয়েছে প্রগলভা;
গন্ধ ও বর্ণের
রঙিন ছন্দময়ী অনুরণনে।।


তুমি এসেছ বলেই-
বাঙ্গালী নারীরা ছুটে চলেছে
বধূ বেশে,
বেণীকেশে কিশোরী বালিকা
প্রকৃতির দোলনায় দোল খেয়ে
দৌড়াচ্ছে মনের আবেশে।।


তোমার ছায়া আঁচলেই-
যুবক-যুবতী বেঁধেছে
নতুন বিয়ের বায়না,
হংস দলের উৎফুল্ল ছোটাছুটিতে
লাফা-লাফি করে
সারা পুকুরের জলকণা।
প্রকৃতিপ্রেমী কবিদের হৃদয়ে
সুর, শব্দ আর ছন্দমালায়
জেগে উঠে নতুন নতুন
কাব্য লেখার ভাবনা।।


তোমার সারা পেয়েই-
জ্যোৎস্না মাখা চাঁদের আলোয়
দক্ষিণা হাওয়া বায়,
বাঁশরী তার মনের আবেশে
নতুন তালে, নতুন সুরে
প্রিয় সখীর অন্তরে
নতুন নতুন স্বপ্ন জাগায়।।


তোমার রূপের ঘ্রাণ পেয়েছে বলেই-
মৌমাছিরা দল বেঁধে
ফুলেফুলে মধু আহরণে
ব্যস্ত হয়ে পরেছে
মুহুর্মুহু গুঞ্জণ সুরে,
তোমার মৃদুমন্দ দক্ষিণা মলয়
কৃষাণীদের কানেকানে বলে দেয়
হয়েছে নতুন ফসলের উদয়।
নিরঞ্জন এ সুখের সমারোহে
মুখ ভরা হাসি জেগে উঠে
সকলের ঘরে ঘরে।
শুধু তোমারই শুভাগমনে,
হে ঋতুরাজ রূপময়ী বসন্ত..!
শুধু তোমারই শুভাগমনে।।