অনরগল আমি ডেকে বলি
একটু স্পর্শ কর, আমি সুস্থ হয়ে যাই।
আলতো করে এ বক্ষে ছুঁয়ে দাও
তোমার ঐ শুভ্র মৃদু আঙ্গুলি।
এত ডাকাডাকি, এত চেয়ে থাকি
আনমনে..
তবু কেন ছুঁয়ে দেখনা..?
কোমল স্পর্শে কাছে টাননা..?
একটিবারও
হায়! আমি কি এতটাই কাঙ্গালী..?
প্রতিটা রাত, অতঃপর দিন
গুণে গুণে পেরোই,
একবারও আমার কথা
তোমার মনে পরেনা কখনই।
রিক্ত এ আমি
তোমার স্পর্শে হতে চেয়েছি
মুক্ত, পরিপূর্ণ।
তবু কাছে এসেছ, চেয়ে থেকেছ
কিন্তু স্পর্শ করনি।
এখন এ বুকের পাঁপড়ি গুলো
হয়ে গ্যাছে অগুছালো,
আর ব্যালকনির গ্রীলে
মার্তন্ডের পীড়নে
এ মুখ ঝলসে গ্যাছে,
তবু দুঃখ পাইনা, ব্যথা ভুলে থাকি,
শুধু তোমার মৃদু স্পর্শ
কোন ক্ষণে পাবো বলি।


আমি তো জল চাইনি,
তবে কেন করেছ এ দেহে জল সেচন..?
আমিতো পুষ্টি চাইনা,
তবে কেন ব্যস্ত থাকো আমার চর্যায়..?
ওগুলো অযথাই, অনধিক চর্চা!
আমিতো কিছুই চাইনা,
জীবিত থেকে মৃতের প্রাণ নিয়ে
আর বেঁচে থাকার অভিলাষ হয়না।
আমাকে কাছে টানো,
কোমল স্পর্শে ভালবেসে
এ জীবনকে করে দাও মহিমান,
আঘাতের পরাঘাতে
এ দেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ ছিঁড়ে ফ্যালো,
আমাকে ভেঙ্গে ফ্যালো, মেরে ফ্যালো
তোমার ঐ স্পর্শে কলঙ্কিত অথবা,
ধন্য হোক এ' ক্ষীণ জীবন।


শূন্য বারান্দায়
বদ্ধ অথচ ফাঁকা গ্রীলের জানালায়
বাতাসের নিয়মিত প্রতিকূলতা।
এতসব বিপত্তি, এত দীর্ঘ শূন্যতায়
আজও মৃতবৎ হয়ে
বেঁচে আছি এই লাল টবে;
একটি গোলাপের বেশে, এই ভেবে
যদি ভুল করেও তুমি স্পর্শ কর
আমি সুস্থ হব তবে।।