শুভ্র-চাদর মুরী দিয়ে আসল বুড়ি ঐ ,
শীতকালেতে আসলি বুড়ি ,গীষ্মে ছিলি কৈ ?
তপ্তদুপুর বেলায় তোকে খুজছি কত ,ধুলায়
যখন সর্বাঙ্গ হইত বিষময় ।
তবু তুমি বুড়ি ,করলে আড়ি
সেই শীত যাওয়াতেই গেলে বাড়ি ।
তোমায় আমি খুজছি কত বেলায়-অবেলায় ।
যে অচিন দেশে ছিলে তুমি
মোর সবই গেল হেলায় ।
তবু বছরান্তে আবার তুমি দিয়েছ ধরা ,
পেয়েছি তোমায় আরতো এবার যাইবে না ছাড়া !


তোমার ভিতর লুকিয়ে আমি রস পারতে যাব ।
গাছি-মামা হাঁক দিলে
তোমার ভিতরে লুটিয়ে যাব !
ডানে খুজবে বামে খুজবে আর গালাগার দিবে ,
তুমি আমি পালিয়ে গেলে হাড়িটা খুজে পাবে !


সেই অমাবস্যার কথা মনে পরে তোমার ...
সেদিন চৌধুরিদের জামাই এল
রসের পিঠে খেতে ,
চৌধুরীসাব হুকুম করিল সব রস তাদের দিতে ।
গাছি-মামা গাছের আগায় হাড়ি দিল ঝুলে
রাত্রি বেলায় তুমি আমি দিলাম ফিকে ঢিলে !
সকাল বেলায় চৌধুরীসাব রস যেই না পায় ,
মামাকে মোদের অপরাধের শাস্তি পেতে হয় ।


সেই থেকে আজ অবধি
আর ভাঙিনি হাড়ি ।
তাই বলে কি ,তুমি আবার
করবে ,আমার সাথে আড়ি ?