‘এসো বর্ষা আমি ভিজবো’ কবিতার দ্বিতীয় অংশ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আহ্বানের অপেক্ষা অধীর হলে
আষাঢ়ে আকাশ বিরহে বিষন্নতায় নত হয়ে
ভেঙ্গে পড়ে শ্রাবণে, বর্ষা আসে গুরু-গর্জনে
শান্ত অন্ধকারের নির্জনে;
হে বর্ষা, তুমি চাতকের পথ বেয়ে
প্রাণী ও জীবের জীবনের ভরষা নিয়ে
কৃষকের জমি ভরা দুচোখে স্বপ্ন আর
সন্তানের মুখের গ্রাস নিয়ে
প্লাবনের দূরন্তপনায় পৃথিবীকে আবারও
বিশুদ্ধির পাথেও দিতে
নদীর দুকূল ছাপিয়ে এসেছ কি?


দেরীর সন্ধ্যায় ঘরে ফেরার পথে
তোমার সাথেই দেখা হলো শ্রাবণী!
ফোঁটাকয় মুক্ত ধারায় শীতল অনুভব
উষ্মতা-হীন বুকের উষ্ম নির্মলতায় চোখ বুঁজেছি
মুক্ত হতে তোমার পাসে শ্রাবণ ধারায়,
মুক্ত হলাম, হাত থেকে ব্যাগ নামিয়ে রেখে
পকেট থেকে আসক্তির যত আস-পাস
জুতো জামা প্যান্ট ......
     আর ক্ষেদে ভরা কিছু পিছুটান,
উন্মুখ আকাশের তলায় ওগো শান্তি!
আষাঢ়ী ইচ্ছে নিয়ে শ্রাবণে ডুবলাম
ভরা সন্ধ্যায় ভরা শ্রাবণ বর্ষায় ভরে ডুবলাম |


মুক্তো দানার মতো ফোঁটা ঝরে পড়ছে
মুক্ত আনন্দ হয়ে
খুশির স্বপ্ন নিয়ে সাতরঙা
মাথা মুখে গায়ে পায়ে সমস্ত শরীর বেয়ে
স্বাধীন বিচরণ;
আর ভিজছে বাইরে ভেতরের আমি
প্রতিটা কোষ-কনিকা বেয়ে শান্তি,
   সমস্ত শরীর জুড়ে যত আকাঙ্ক্ষা
     এত দিন ধরে শেকড়ের টানে
যে আমিকে মেলাতে চেয়েছে
যুগের অপার সুখে মলিনের সংঘাতে
          .....সব ধুয়ে যাচ্ছে;
যার প্রতীক্ষায় আমার দীর্ঘকাল ছিল অব্যক্ত
শুধু একবার ভিজব বলে!