হঠাৎ তাকিয়ে দেখতেই, লোকে আমায় বলে___
আমি ধূর্ত, নেশার ঘোরে হয়ে থাকি মত্ত,
হঠাৎ করেই আমি হয়ে যাই উধাও,
হঠাৎ করেই আবার মেলে দেখা,
কেউ না করে কারো জন্যে অপেক্ষা।
এমন করেই যে অজানা আজও অনেক,
জানতে পারা হয় ঠিক সবই, তবুও বুঝি ভুল,
যা জমানো আছে বুকের মাঝে মণ খানেক।।


ঘোরের ভেতর মত্ত যদি থাকতাম আমি,
কেন তবে আজকাল, এখনো আমি শান্ত,
করেই তো তুলেছি সব ভ্রান্ত!!
মুঠোফোনে এখন যে সবই আছে,
কম্পিউটারেও যেন নেই এতো কিছু।।


নেশার গভীরে লুকানো আছে, কতোই প্রমূখ,
তাইতো... আমি নেশার বেশে
যাই খুঁজে, দামী সেই নামী মানব___
অগোচরে সে আছে যেন নিজেকে ঢেকে;
সঠিক একটি সময় ও সুযোগেরই, অপেক্ষায় রয়েছি বসে।।


আপন না হোক, এলাকার বাসিন্দা তো বটে___
সুযোগ পেলেই আপন হবো, টেনে নেবো কাছে।
কেউ যেন বুঝবে না, কি হয়েছে পাছে!
কাটুক সময়, আসুক উপযুক্ত ক্ষণ, নেই হুড়োহুড়ি;
সম্মানী সেই গুপ্ত মানব,
ঘুচাবে পণ, করতে গিয়ে শেষে বাড়াবাড়ি।।


আমার পরিচয় তো আমিই নিজে,
নেশাময় ঘোর – লোক সব জানাতে।
নেশার গভীরের মূল গর্ভ
নইলে, কখনোই না যাওয়া যাবে।
মানুষের চোখে আমি, নেশায় মত্ত ঘোরে;
তাতে কি আসে যায়?
কথা নিচ্ছি অথবা কিনছি
সবার চোখের আড়ালে;
সবাই ভাবে, সারাদিন আমি যেন আছি
নেশার দলে দলে।।


জ্বেদে যেন আমার গা ফাটে___
নিজেকে না রাখলে যে করে গোপন,
দেখতাম তবে তাকিয়ে, কে কে আমার পা চাটে?
অধিকার পেলেই করতাম চিৎকারঃ
বলতাম, পৃথিবী রক্ষী দলের সদস্য আমি,
মূখ্য হয়ে যুক্ত আছি,
মাদক নিধনের নামে মাদক সেবন দলে।
গোপনে গুপ্ত গোয়েন্দা আমি,
সুপ্ত রেখে নিজের সব পটভূমি।
জানবে একদিন, যদি তবে কেউ কোনদিন
আমায় সম্বোধন করে, বলে ‘স্বামী’।।