মায়াবী এক কন্যা
বেঁধে দিলো, রাঙিয়ে ভালোবাসার বন্যা
রূপে সে অনন্যা
বুঝতে পারলাম, দূরে থেকেই
সে’তো স্বর্গরাজ্যের এক রাজকন্যা।।


অযথাই আনমনে
ঘুরি যখন গহীন বনে,
শুনতে পাই নিস্তব্ধ হয়ে,
কারও আওয়াজ ক্ষনে ক্ষনে।
সেই রূপসী যেনো বেড়ায় হেঁটে
নূপুর পায়ে, মৃদু ঝংকারে
লুকিয়ে লুকিয়ে তাকিয়ে আমার পানে।
আমি হন্যে হয়ে যাই যে খুঁজে
অস্পষ্ট আওয়াজ তুলি,
একা একাই, অজস্র গানে গানে।।


রাজকন্যা তো আমায় দেখতে গিয়ে, চুপিচুপি
আরও মানব দৃষ্টি ছিটিয়ে দিলো
দেখাতে আমার আসর, অজানা সব বহুরূপী।
ভেবেছিলাম, পাবো খুঁজে
যদি দেখি সে আছে, চোখটি বুজে
তাকিয়ে থাকবো তার মায়াবী পানে,
গড়বো না হয় ভালোবাসা,
নীল ডায়েরীর প্রতিটি পাতার ভাঁজে ভাঁজে।।


আমায় অপলক দেখে দেখে
রাজকন্যা ভাবে দেখবে চেখে,
আমার প্রসংসা শুনে জনে জনে
কন্ঠে অভিমানের আবেগ মেখে
বেড়ায় ঘুরে, অদ্ভুত আমার কীর্তি সব রেখে।
আসতে চেয়েও এখন, থাকে বসে শাখে শাখে;
পারে না শুধু, প্রবেশ করতে মোর ভাঙা কক্ষে,
দাঁড়িয়ে আছে যেনো আজ হাজার বাঁধা
করতে যে তোমায়, আমার হতে রক্ষে।।