সময়ের সুড়ঙ্গ ধরে হেঁটে এসেছি বহুদূর
তবু ... জিভে লেগে আছে লবণ-কৈশোর ।   
দুহাতের তালুতে বয়ে যাওয়া সেই
দুরন্ত নদীর ঢেউ ...হয়নি জমাট...হয়নি পাথর ।
এখনো পাতায় পাতায় চুমু দেয় স্মৃতির হিম রেণু
সতীর্থ হাসির শিহরণে কেঁপে কেঁপে উঠে    
লাগামহীন সুখ-পরাগ ।  
শিথান  বালিশের বুকে আজো জমিয়ে রেখেছি
উচ্ছল গোল্লাছুট হাসি ।
অনিরুদ্ধ সুখ গুলো আছে...যেমন ছিল হেমন্ত-দুষ্ট  
পাঁচিলের ওপাশে গুল্মলতায় মৌ-মধু গন্ধ
ঘুম-কলোনির কপাট খুলেছে রাখাল-বালক ।
স্বপ্ন-সন্ধ্যার সেই কৈশোর গ্রীবা
অবুঝ প্রেমের আঁকা-বুকিতে
রক্তিম রোমিও জুলিয়েট  ম্যাগনেট-শেকসপিয়র  
তেমনি আছে ...অমলিন হীরক-দ্যুতি।  


এখনো আহ্লাদে মৌনতায় ...উড়ে উড়ে আসে স্মৃতির চঞ্চল শালিক ।
সবুজ সাঁতারে পারি দেয় ব্ল্যাক হোল  
নক্ষত্র- ছায়াপথ ।
অবশেষে সৌরজগৎ ঘুরে দিগন্তে নেমে আসে বালিকা-চিঠি
রুপোর ঘণ্টায় বাজে ইশকুল ছুটি ।  
সেই সব দিনরাত্রি ... বসন্ত প্রজাপতি- শ্বেত প্রহেলিকা ।
ঘুম ভাঙ্গা সূর্যের মুক্তোর খামারে
আজো চাষ করি অপ্রতিম জীবনের চির সবুজ কৈশোরী মন।