এই হেমন্তলগ্নে একটু একটু করে ডুবে যাই কবোষ্ণ মেঘে ।    
বেদনা-বৃক্ষ তলে ঝরে পরা যত অশ্রুলহরী
ভাসিয়ে দেই সুদূর নদীগর্ভে ।  
খেজুর পাতার ঝিরঝিরে আলোড়নে
শুধু  মনহরি কুয়াশা কাব্যের আসর  বসাই  ।  
মৌসুমি আলোর কপাটে ছানাপোনাদের স্নেহ–রঙ
দুঃখদানা বন্দী জলজ আঁধারে,  
পঞ্জিকায় কাটি দাগ, ধনেপাতা খেতে
হেঁটে আসে শীত-লাঙল    
বক্ররেখায় আজ পলিমাটি সুরের মহোৎসব...।  
পুরনো পালক উড়ে উড়ে যায় মেঘ-শিখরে  
সুগ্রীব ঠোঁট আঙিনায়
সিরামিক ঘুঙুর ডানা ঝাঁপটায়
সুখসঞ্চারী বাতাস খুলে দেয় নকশী-বাতায়ন  
আমি দুচোখে মেলে ধরি এক ঝাঁক কৌমুদী উল্লাস ।