শুনেছি তোমার উপত্যকার ওই পারে
জমাট লবণের এক হ্রদ আছে ।
এক দিন দাওয়াত দিও
আমি সবুজ ফার্নের শাড়ি পরে
উড়িয়ে দেবো নীলাম্বরী মেঘের দল
আর অঞ্জলি ভরে নিয়ে যাবো
হলুদ কুয়াশা- এক চিমটি আনারস ঘ্রাণ
তুমি নাহয় ওক পাতায় ই লিখো সে অজানা আমন্ত্রণ !
আমি নক্ষত্র-কম্পাসে
লুকিয়ে লুকিয়ে তোমার বাড়ির
হারানো পথ খুঁজে নেব !
পাতাদের প্রশ্বাসে ভেসে আসা তোমার বাথানের ঘ্রাণে
আমি ঠিক ঠিক চিনে নেব। সেই সুরেলা প্রান্তর।
আর যদি-
জলদস্যু অঙ্কনে যদি ছুটে আসে পাহাড়ি স্রোত
যদি ডেকে ওঠে কয়োটি ছায়া ।
বাতাসে ওড়ে ঝাউপাতা , বুনো ফুল ।
তবে উষ্ণ ঝর্ণার সেই সুষমা অরণ্যে
আমি মেলে দেবো নীল ডানা ।
তুমি তো জানো ... পৃথিবী ভ্রমণে আমার নেই কোনও মানা !
শুধু তুমি গুল্মলতার পাঞ্জাবীতে
লবণের স্বচ্ছ গ্লাসে ঠোট রেখো ।
আর কটেজের পাথর দরোজা
আমার জন্য চিরদিন খুলে রেখো !