নিশাচরী,তুমি এসেছিলে আজ প্রাতে; আমার আমিকে ব্যবচ্ছেদ করার                                                     উপঢৌকন হাতে!
হঠাতি,আলোর ঝলকানীতে;
আমি নিশ্চল-নিশ্চুপ----হা­সিমুখ|



চারিদিকে শব পোড়াবার বিকট গন্ধ,উচ্ছ্বসিত ব্যস্ততা!
চোখ ঝাঁঝালো ধোঁয়ায় আমিও পুড়ে যায়! শরীরে আমার কর্পুরের সম্মোহনী গন্ধ; মুহূর্তেই ঘুরে আসি,---তোমার চোখের তারায় পড়ে যে আলোক!
ঘাসের বিছানায়;সিন্ধু তীরে|
তবুও স্বস্তি নেই,এক ঘুমহীন অসহ্য আত্মার রাত্রি বিলাপ!!


ফিরে যেতে হবে প্রিয়ার কাছে সে জে বসে আছে মৃত বরণ পারিজাত লয়ে হাতে;
তোমার নির্দেশেই সম্মিত ফিরে পেয়ে, উঠে বসি,একি সবই সুসজ্জিত!
শব নেই,পোড়াবার ভয়াবহ আরতিও নেই !
সব ভেসে গেছে,চলে গেছে রূপ নিয়ে দূরে |


তোমার কপোলে ফাল্গুনের অর্ধ চাঁদ | তবে কি সত্যি আমি নেই ?সবশেষে;---- নিস্তব্ধ আত্মার ভয়াবহ আরতি তোমার পৃথিবীতে তীব্র মনোযোগ, তুমি দিয়েছিলে যে প্রতিশ্রুতি রাখ নি,তাই চেয়ে থাকি দরজায়!