লু এর তাপদাহ থেকে দেহকে আগলে রাখতে
মন কে চির দিয়ে নিরস নির্জীব নিয়ন্তা চিত্র এঁকে
ঝরা পাতার ডালে বসে চাতকের মতো -
উর্বশীর সঙ্গে প্রাণভরে প্রাণ করতে চাইছি ঝর্ণাধারা!  
ফাঁকা মাঠের দূর একান্ত প্রান্তে ধোঁয়াশা ভরা মায়াখেলায় দেখি
তাম্রলিপ্ত কেশি জীবন কে সুনীল করে পেতে চাইছে
হারিয়ে যাওয়া সবুজ মাঠের সবুজাভিজান বর্ষায়!
এই ভাবতে ভাবতে আমার চোখ, মন শরীর কেউ আমার ছিলনা!
এরা নিজেই নিজের পৃথিবী, নিজেকে সুন্দর করে তুলতে -
ভুলেছে লোভ লালসার অসহ্য ব্যস্ততার জীবন কে।


পিছু ফিরে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে নির্লিপ্ত নয়নে
উত্তপ্ত বাতাসের কানে কানে অন্তরের গহিন হতে
বিচ্ছেদের যন্ত্রণা থেকে বসুন্ধরার ভালোবাসাকে রক্ষা করতে
বললাম দেখো - উর্বশী! পৃথিবী যতই উত্তপ্ত হোক
কৃষ্ণচূড়া এখনো মাথা উঁচু করে লাল ফুলদানি দিয়ে আগের মতই ভালোবাসা নিবেদন করে চলেছে ;
রাধা শত বিরহের যন্ত্রণাকে দমন করে সদায় সাদা পুষ্পাঞ্জলির
দেহমনের শান্তিময় বার্তায় পৃথিবীর দোদুল্যমান জ্বালাকে
অবিরাম বরষার অফুরন্ত অসমাপ্ত প্রেমের প্রেরণা হয়ে উঠেছে।
আমার ভালবাসা তোমাকে কতটা সুখে রাখতে পারবে
এই নিয়েই আমার অসমাপ্ত বেদনা!
তুমি কি দিবে, না দিবে না, সে নয় আমার বাসনা।