ঈশ্বরের সাথে পড়ন্ত বিকেলে দ্যাখা হয়েছিল ছেলেটার।
এক্কেবারেই অজান্তে, তাই আকস্মিকতার রেশ কাটিয়ে
উঠতে পারলো না কেউই।
রোদপিঠে ক্লান্ত ছায়া নেমে আসে গোধূলির আকাশে-
অবকাশে সন্ধ্যে নামতে থাকে।
আর তখনই নিওন তন্বীর হীরে ঝোলানো দুলের দ্যুতিতে
দুলে ওঠে দ্যুলোক।
ঈশ্বর তারই তলায় দাঁড়িয়ে বিড়িতে সুখটান দেয়;
আর ছেলেটা মিয়ানো বাদামের খোসা ওড়ায়।
ফ্রেমবন্দী হন ঈশ্বর আর ছেলেটি।
উড়ে যাওয়া সব শখ, সব পাওয়া –না পাওয়ারা
ছন্দে বাঁধা পরে কবুতর হয়ে।
তারা নাকি কবিতা এখন!
ঈশ্বর ধোঁয়া ছাড়ে আর ভাবে-
যতটা ধাক্কা দিলে ই ইকুয়ালস টু এমসি স্কোয়ার হতে পারত
তার কাছে এ ত শিশু মাত্র। তাই হর্নের সাথে মিলিয়ে যায় গোধূলি।
ছেলেটার নির্বেদ মনে দানা বাঁধে বাদামভাজারা।
নিওনের তলাতে যত শোরগোল, যত খিটিমিটি রাত ডেকে আনে।
ঈশ্বর, নিওন আর ছেলেটার কথা কুড়িয়েছে রাত এই রাজপথ থেকে।