নন্দিনী, তোমার স্পর্শ চুম্বকের মত;
শত সহস্র যুবকের দল
বটবৃক্ষের ছায়া ভুলে, সকল বন্ধন ছিন্ন করে
ধূসর পৃথিবীর মরিচীকাময় সুখের সন্ধানে
বিলিয়ে দিচ্ছে জীবন হায় অকাতরে।


নন্দিনী, তোমার ছোয়ার আশায় হন্যে হয়ে;
রক্তের ধারা ছুটছে প্রবল
কত যুদ্ধ, কত প্রপঞ্চনা, কত পৃথিবীর কীটের মতন-
সমুদ্র বিশাল নীল যাতনা উপেক্ষা করে
রুপালী অন্ধকারের রাতে, করতে অসাধ্য সাধন।


নন্দিনী, তোমাকে সাজাবে বলে;
দূর সাগরের মাঝখানে, জনমানবহীন-
মাটির অতলে সোনা আছে শুনে, পুষ্পশয্যা ভুলে
শ্বাপদ-সংকুল বন-বাদারের পরে, নাগমণির সন্ধানে
খুজেছে অবিরাম, তপ্ত সোনারোদ মাথায় তুলে।


নন্দিনী, তুমি কিছু চেয়েছ বলে;
অজস্র অসংখ্য মিথ্যের ফুলঝুরি
ঘুমহীন ক্লান্ত শরীর টাকে স্রোতে ভাসিয়ে, উদ্দেশ্যহীন
আকাশ, নক্ষত্র, তারা, চন্দ্রমল্লিকার রাত্রি ভুলে
অন্ধকার জগতেরে যুবক করেছে সঙ্গীন।


অনেক বছর কাল কেটে গেছে- এমনিকরে;
যুগের বদল হয়েছে হয়নি রীতির
বোকা যুবকের দল, অবিরাম তপ্ত সবিতার মত,
মিলনোন্মত্ত বাঘিনীর সঙ্গীর মত, খেটে চলেছে অবিরাম।
সকল কপাটে রয়েছে যুবদের বিচরন রয়েছে দু:খের ভান্ডার যত।


এতকাল ধরে যা হয়েছে-
               হবেকি তা শ্বাশ্বতকাল পরে!