জ্যৈষ্ঠ মাসের খাঁ খাঁ রোদে
একাকি চলিয়াছে এক পথিক বহুখন ধরে
“ কোথায় সে যায়? কেন?” শুধিবার
লোকটিও কোথাও নায় ।
শুধু ছায়া তার সাথী, রবি যখন মাঝ গগনে
সে ছায়া ও পালাতে চায়।
ঘর্মাক্ত মুখ থেকে পরে শুধু জল
যেতে তাকে হবে বহুদুর, অচিনপুর।


বেলা যখন একটু এল পরে
পথিক দেখে কে যেন আসিতেছে তার পানে
গুন গুন  গান গেয়ে, খালি কলসি কাঙ্খে নিয়ে
বকুল ফুল টি মাথায় দিয়ে।
“আমি ও অচিনপুরের যাত্রী  ,চল একসাথে যাই?”
বলিয়া ,চলিতে চলিতে  ধরিল সে গান
গানের তালে নাচিল পায়ের নুপুর
দুজনার চোখের পলক আর প্রাণ


“ কোথায় যাবে তুমি? কেন?”
এই প্রথম কেও পথিক কে জিজ্ঞাসিল
তার খিলখিল হাসি তে
দুলিয়া উঠিল তরুলতা ।
তার সেই চাহনিতে যেন
উথলি ঊঠিল পথিকের প্রাণ
“ওই দেখা যাই অচিনপুর, অল্প একটু পথ”
পথিক প্রথমবার ভাবে ,গন্তব্যই কি সব?
না এই যাত্রা তার চেয়ে ও মধুর?
“একটু দাড়াও, এক্ষুনি আসছি” বলিয়া
চোখের আড়াল হইল সে মেয়ে ।
রবি দিনের শেষ হাসি হাসিল,পাখিরা খোঁজে নীড়
অন্ধকার ঘনিয়ে আসে, ডাকে ঝিঁঝিঁ পোকা
কিন্তু তার দেখা আর নাহি কোথা।


“কি নামে ডাকি তারে? নাম টাও জানা নাই”
ভাবিয়া সেদিনের মত বিদায় হইল পথিক।
একই পথে হাঁটিয়াছে সে কতবার , কতদিন
পথই যার ঘর, সেই তো পথিক।
কত লোক এল গেল,কত লোক রোজ যায়
পথিক আশায় আশায় থাকে
পথেই যদি আবার কোনদিন
সে মেয়ের দেখা পায়।


- জয়দীপ ভৌমিক